বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকা- কমেছে : মার্কিন রিপোর্ট
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৪৫:৩৭,অপরাহ্ন ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ | সংবাদটি ২২৩ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশে ২০২০ সালে সন্ত্রাসী কর্মকা- কমেছে। পাশাপাশি বেড়েছে সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত বিভিন্ন তদন্ত কার্যক্রম এবং গ্রেফতারের ঘটনাও। মার্কিন এক রিপোর্টে এমনটাই বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।
‘কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেররিজম (সিআরটি)’ নামের ওই রিপোর্টে মূলত বাংলাদেশের গত বছরের সন্ত্রাসবাদের চিত্র বিশ্লেষণ করে এসব মন্তব্য করা হয়েছে।
গত বছর বাংলাদেশে সুনির্দিষ্ট তিনটি সন্ত্রাসী কর্মকা- সংঘটিত হয়েছে উল্লেখ করে রিপোর্টে বলা হয়, তবে এ ঘটনায় কারো মৃত্যু হয়নি। একইসাথে সন্ত্রাসবাদ রুখতে এবং নিজের ভূখ-কে সন্ত্রাসীদের স্বর্গ হিসেবে ব্যবহারের বিরুদ্ধে স্পষ্টভাবে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করেছে বাংলাদেশ সরকার।
এছাড়া বাংলাদেশ নিজেদের ভূখ-ের সীমান্ত ও বিভিন্ন বন্দর দিয়ে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক জোরদার করেছে বলেও রিপোর্টে বলা হয়েছে। একইসাথে চিহ্নিত সন্ত্রাসী বা সন্দেহভাজনদের নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে একটি ‘অ্যালার্ট লিস্ট’ তৈরিতেও একযোগে কাজ করছে ওয়াশিংটন-ঢাকা।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদনে গত বছর হওয়া সুনির্দিষ্ট তিনটি সন্ত্রাসী কর্মকা-ের কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে একটি ঘটনা চট্টগ্রামের। ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে একটি পুলিশ বক্সের কাছে ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দুই পুলিশ ও এক সাধারণ নাগরিক আহত হন।
এছাড়া একই বছরের ৩১ জুলাই নওগাঁ জেলার একটি মন্দিরে হামলা ঘটনা ঘটে। সেখানে একটি বোমা পেতে রাখা হয়েছিল। তবে সেখানে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এই দু’টি ঘটনারই দায় স্বীকার করে উগ্রবাদী গোষ্ঠী আইএস।
এরপর তৃতীয় ঘটনা হিসেবে ঢাকায় একটি হামলা চেষ্টার কথা বলা হয়। ২০২০ সালের ২৪ জুলাই রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় পুলিশের মোটরসাইকেলে একটি ছোট আইইডির সন্ধান পাওয়া যায়। এটিকে আইএস-অনুপ্রাণিত তৃতীয় হামলা প্রচেষ্টা বলে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে হামলা পরবর্তী পুলিশের বিভিন্ন তৎপরতাকেও গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করা হয়েছে মার্কিন ওই প্রতিবেদনে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দেয়া এক বিবৃতিতে এই প্রতিবেদনের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন জানান, ২০২০ কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেররিজম (সিআরটি) প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত বছর সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী পরিস্থিতি ঠিক কেমন ছিল, তা এই রিপোর্টে বিস্তারিত উঠে এসেছে।
মূলত যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছরই বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী পদক্ষেপ নিয়ে এই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। এতে পূর্ববর্তী বছরের সন্ত্রাসবাদের পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়।
উল্লেখ্য, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে গত ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে র্যাবের সাত বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট আলাদাভাবে এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।