আল্লামা ফুলতলী (রঃ) চির ভাস্বর-দীপ্তিময়
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:১৯:১৮,অপরাহ্ন ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ১৮১৬ বার পঠিত
মেহের নিগার তাজকিয়া : সিলেটে ইসলামের ঝান্ডার গোড়াপত্তনকারী হযরত শাহজালাল (রঃ) এর পরবর্তী যত ইসলামী ব্যক্তিত্ব, বুজুর্গ ও ওলীগণের আগমন সিলেটে হয়েছিল তাদের মধ্যে হযরত আল্লামা ফুলতলী (রঃ) অন্যতম।পুরো নাম মুহাম্মাদ আব্দুল লতিফ চৌধুরী, উপাধী মুজাদ্দিদে যামান হাদিয়ে মিল্লাত, শামসুল উলামা, ছাহেব ক্বিবলাহ ফুলতলী ইত্যাদি।একজন সুপরিচিত আলেম তরীকতের মুর্শিদএবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারী বিশিষ্ট বুযুর্গ ও ওলী।
জন্ম ও বংশ পরিচয়
আল্লামা আব্দুল লতিফ চৌধুরী ১৩২১ বাংলার ফাল্গুন মাসে অর্থাৎ ১৯১৩ সালের প্রথম দিকে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ফুলতলী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।পিতা মাওলানা মুফতি মোঃ আব্দুল মজিদ চৌধুরী, মুজাদ্দেদী নকশবন্দী রহঃ তিনি ছিলেন তৎকালীন ভারতবর্ষের বাংলা- আসামের একজন মশহুর আলিম, মুফতী ও বুযুর্গ। তিনি সিলেটের সম্রাট ও বিশ্ব বিখ্যাত ওলী হযরত শাহজালাল মুজাররদে ইয়ামনী রহঃ এর সঙ্গী ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম হযরত শাহ কামাল রহঃ এর অধঃস্তন হযরত শাহ আলা বখশ রহঃ এর বংশধর।
শিক্ষাজীবন
প্রাথমিক ও উচ্চ শিক্ষা লাভ : হযরত ফুলতলী ছাহেব ক্বিবলাহ রহঃ প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় বাদে দেওরাইল ফুলতলী মাদরাসায়, চাচাতো ভাই হযরত মাওলানা মোঃ ফাতির আলী সাহেবের তত্ত্বাবধানে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। এ সময় তিনি ক্বারী সৈয়দ আলী সাহেবের নিকট ইলমে ক্বিরাত শিক্ষা করেন। পরবর্তীতে ছাহেব ক্বিবলাহর
পিতা মাওলানা মুফতি আব্দুল মজীদ চৌধুরীর সুযোগ্য শাগরিদ ভারতের আসাম প্রদেশের হাইলকান্দি জেলার রাঙ্গাউটি মাদরাসার সুপার প্রখ্যাত আলিম মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ সাহেবের অনুরোধে ১৩৩৬ বাংলা সনে ফুলতলী ছাহেবকে ভর্তি করা হয় সেখানে, আল্লামা ফুলতলী ছাহেব ক্বিবলাহ সেখান থেকে কৃতিত্বের সাথে মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন। এ সময় ছাহেব ক্বিবলার পিতা মাওলানা মুফতি আব্দুল মজীদ চৌধুরী ইন্তেকাল করেন, পিতার ইন্তেকালের পর হযরত বদরপুরী রহঃ
এর পরামর্শে ছাহেব ক্বিবলা রহঃ ১৩৩৮ খৃষ্টাব্দে বদরপুর সিনিয়র মাদরাসায়
ভর্তি হন এবং সেখানেই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন। উচ্চ শিক্ষা লাভ করে ছাহেব ক্বিবলার উস্তাদ ও মুর্শিদ হযরত মাওলানা শাহ ইয়াকুব বদরপুরী রহঃ এর নির্দেশে তৎকালীন ভারতবর্ষের অন্যতম বিদ্যাপীট মাদরাসা-ই-আলিয়া রামপুরে ভর্তি হন। এরপর ইলমে হাদিসের শিক্ষা লাভের জন্য রামপুরের মাতলাউল উলুম টাইটেল মাদরাসায় ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৩৫৫ হিজরী সনে বিখ্যাত মুহাদ্দিস হযরত মাওলানা খলিলুল্লাহ রামপুরী রহঃ ও হযরত মাওলানা ওয়াজীহ উদ্দিন রামপুরী রহঃ সহ কতিপয় উস্তাদের কাছ থেকে হাদিসের চুড়ান্ত পরিক্ষায় প্রথম
বিভাগে সনদ লাভ করেন। তার ওস্তাদদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আল্লামা খলিলুল্লাহ রামপুরী ও আল্লামা ওয়াজিহুদ্দীন রামপুরী। এ ছাড়া তিনি শাহ আব্দুর রউফ করমপুরী ও শায়খুল কুররা আহমদ হেজাযী এর নিকট থেকে ইলমে কিরাতের সনদ অর্জন করেন। ১৯৪৬ সালে তিনি শায়খুল কূররার নিকট থেকে ইলমে কিরাতের সর্বোচ্চ সনদ অর্জন করেন।
কর্মজীবন
ইলমে হাদীসের খিদমত : আল্লামা ফুলতলী ছাহেব ক্বিবলাহ রহঃ সর্বপ্রথম ১৯৪৬ ইং সনে ভারতের আসামের বদরপুর আলিয়া মাদরাসায় শিক্ষকতায় যোগদানের মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন এবং ১৯৫০ সাল পর্যন্ত সেখানে তিরমিযী শরীফ, নাসাঈ শরীফ, বায়দ্বাবী শরীফ ও তাফসীরের বিভিন্ন বিষয়াদি শিক্ষা দান করেন। ১৯৫১ ইং সাল থেকে ১৯৫৪ ইং সাল পর্যন্ত ফুলতলী আলিয়া মাদরাসায় শিক্ষাদানে নিয়োজিত ছিলেন, ১৯৫৪ ইং সালেই তিনি সিলেটের গাছবাড়ী আলিয়া মাদরাসার মুহাদ্দিস হিসেবে যোগদান করেন, পরবর্তীতে তিনি সেখানকার ভাইস প্রিন্সিপাল ও পরে প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সুদীর্ঘ ৬ বছর যাবৎ সেখানে হাদীস শরীফের শিক্ষা দান করেন। এরপর তিনি সৎপুর, ইছামতি ও বাদে দেওরাইল ফুলতলী আলিয়া মাদ্রাসায় কামিল জামাতের ছাত্রদের হাদীস শরীফ শিক্ষাদান করেন। এরপর তিনি সিলেটস্থ নিজ বাসায় কামিল জামাতের ছাত্রদেরকে সপ্তাহে কিছু সময় বাখারী সরীফের দরস দান করেন, আল্লামা ফুলতলী ছাহেব ক্বিবলাহ বৃদ্ধ বয়সেও বসে থাকেননি, জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত তিনি ছাত্রদেরকে বাদেদেওরাইল ফুলতলী আলিয়া মাদরাসায় নিয়মিত হাদীস শরীফের দরস দান।
১৯৪০ ইং সালে নিজ বাড়ীতে ইলমে ক্বিরাতের দরস চালু করেন।দ্রুত গতিতে ছাত্রসংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকায অন্যান্য স্থানে শাখা অনুমোদন ও একটি বোর্ড গঠনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। তখন ছাহেব ক্বিবলাহর পিতার নামানুসারে বোর্ডের নাম রাখা হয় ‘দারুল ক্বিরাত মজিদিয়া ফুলতলী ট্রাষ্ট’। ছাহেব ক্বিবলাহ তাঁর ভু-সম্পত্তির প্রায় ৩৩ একর জমি ট্রাষ্টের নামে ওয়াকফ করে দিয়েছেন, ফুলতলী ছাহেব ক্বিবলাহ স্বাধীনতার পরবর্তী দু বছর কারাগারে থেকে ও ক্বিরাত শিক্ষা দান করেন, জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত ও তিনি ইলমে ক্বিরাতের খিদমত করে গেছেন।
সিলসিলা
আল্লামা ফুলতলী ছিলেন তরীকায়ে কাদেরিয়া, চিশতীয়া, নক্সবন্দীয়া, মুজাদ্দেদিয়া ও মুহাম্মদিয়ার মুর্শিদ। তিনি আজীবন উপর্যুক্ত তরিকা সমূহের প্রচার ও প্রসারে নিয়োজিত ছিলেন। তার তরিকতের সিলসিলা নিম্নরূপ:
- আল্লামা আব্দুল লতিফ চৌধুরী ফুলতলী রহ.
- শাহ ইয়াকুব বদরপুরী রহ.
- হাফিজ আহমদ জৈনপুরী রহ.
- কারামত আলী জৌনপুরী রহ.
- সাইয়েদ আহমদ রেলভী রহ.
- শাহ আব্দুল আজিজ মুহাদ্দিসে দেহলভী রহ.
- শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী রহ. ।
রচনাবলী
- আত তানভীর আলাত তাফসীর
- মুন্তাখাবুস সিয়র
- আনওয়ারুছ ছালিকীন
- আল খুতবাতুল ইয়াকুবিয়া
- নালায়ে কলন্দর
- শাজরায়ে তাইয়্যিবাহ
- আল কাউলুছ ছাদীদ
তার লেখা অনেক উর্দু ও আরবি গ্রন্থ ভারত ও পাকিস্তানের বিভিন্ন মাদ্রাসার পাঠ্যসূচিতে রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবী বিভাগের পাঠ্যসূচিতেও তার অনেক গ্রন্থ রয়েছে।
সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান
- দারুল কিরাত মজিদিয়া ফুলতলী ট্রাস্ট। এটি কুরআন যথাযথভাবে পাঠের লক্ষে প্রতিষ্ঠিত একটি প্রতিষ্ঠান। দেশ-বিদেশে প্রায় ২০০০ শাখা নিয়ে পরিচালিত এ প্রতিষ্টানের মাধ্যমে বহু মানুষ আল-কুরআন সঠিকভাবে শেখার সুযোগ পাচ্ছে।
- বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ।
- বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া। এটি ছাত্র সংগঠন। ১৯৮০ সালে তিনি এটি প্রতিষ্ঠা করেন।
- বাংলাদেশ আঞ্জুমানে মাদারিসে আরাবিয়া। এটি মাদ্রাসা শিক্ষা ও শিক্ষকদের জন্য ১৯৬৪ সালে তিনি প্রতিষ্টা করেন।
- লতিফিয়া ক্বারী সোসাইটি। দারুল কিরাত মজিদিয়া ফুলতলী ট্রাস্ট হতে শেষ ক্লাসের সার্টিফিকেট প্রাপ্তদের নিয়ে এটি গঠিত। আল কুরআন এর শিক্ষা বিস্তার এবং কারীগণের কল্যানে এ সংগঠন কাজ করে থাকে।
- লতিফিয়া এতিম খানা।
- ইয়াকুবিয়া হিফজুল কুরআন বোর্ড।
বিদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন
- দারুল হাদিস লতিফিয়া ইউকে।
- আনজুমানে আল ইসলাহ ইউকে
- আনজুমানে আল ইসলাহ ইউএস
- ওলামা সোসাইটি ইউএস
- লতিফিয়া উলামা সোসাইটি ইউকে
- লতিফিয়া কারী সোসাইটি ইউকে
- দারুল হাদীস লতিফিয়া নর্থ ওয়েস্ট
- কিরাআত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
- লতিফিয়া দারুল কিরাত সমিতি, ভারত
- আল মজিদিয়া ইভিনিং মাদ্রাসা, ইউকে।
সন্তান-সন্ততি
তার ৭ ছেলে ও ৩ মেয়ে সন্তান রয়েছেন । এরা হলেন-
- হযরত আল্লামা মোঃ ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী
- হযরত আল্লামা মোঃ নজমুদ্দীন চৌধুরী
- মোছাম্মত করিমুন্নেছা চৌধুরী
- হযরত মাওলানা মোহাম্মদ শিহাবুদ্দীন চৌধুরী
- মোছাম্মত মাহতাবুন্নেছা চৌধুরী
- মোছাম্মত আফতাবুন্নেছা চৌধুরী
- মুফতি মাওলানা মোঃ গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী
- মাওলানা মুহাম্মদ কমরুদ্দীন চৌধুরী
- হাফিয মাওলানা মুহাম্মদ ফখরুদ্দীন চৌধুরী ও
- মাওলানা মুহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী।
শামসুল উলামা উপাধি লাভ
আল্লামা ছাহেব ক্বিবলাহ ফুলতলী রহঃ ১৯৯৯ ইং সনে বৃটেনসহ ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে সফর করেছিলেন ইসলামের দাওয়াতের জন্য, আজীবন ইসলামের খিদমত করার বিরল ভুমিকা রাখায় ছাহেব ক্বিবলাহ ফুলতলীর কর্মময় জীবনের উপর গবেষণা চালিয়ে বৃটেনস্থ বাংলাদেশ ন্যাশনাল ষ্টুডেন্ট এওয়ার্ড [বি,এন,এস,এ] কর্তৃক শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ ইসলামী মেধাসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব মনোনীত হওয়ায় শামছুল উলামা উপাধি লাভ করেন।
ইন্তেকাল
আল্লামা ছাহেব ক্বিবলাহ ফুলতলী রহঃ ১৬ জানুয়ারি ২০০৮ সালে সিলেট শহরে তাঁর প্রতিষ্ঠিত শাহজালাল দারুচ্ছুন্নাহ ইয়াকুবিয়া কামিল মাদরাসা সংলগ্ন বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। ঐদিন বিকাল ৪টা সময় তার গ্রামের বাড়ির পাশে অবস্থিত বালাই হাওরে জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় ইমামতি করেন তাঁর বড় ছেলে আল্লামা ইমাদ উদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী। তাঁর জানাযায় লাখ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। জানাযা শেষে তার প্রতিষ্ঠিত জামে মসজিদের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
উত্তরসূরী
আল্লামা আব্দুল লতিফ চৌধুরীর ইন্তেকালের পর তাঁর অনুসারীরা তাঁর স্থলাভিষিক্ত হিসেবে মনোনীত করেছেন তাঁর বড় ছেলে আল্লামা মোঃ ইমাদ উদ্দিন চৌধুরীকে। আল্লামা মোঃ ইমাদ উদ্দিন প্রাথমিক জীবনে শিক্ষকতা করতেন। ১৯৭৮ সালে সৎপুর কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ থাকাকালে চাকুরী ছেড়ে স্থায়ীভাবে গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। এরপর অবৈতনিকভাবে ইছামতি কামিল মাদ্রাসা ও পরে বাদে দেওরাইল কামিল মাদ্রাসায় অধ্যাপনা করেন। পিতার ইন্তেকালের পর থেকে তিনি পিতার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে ভক্ত ও অনুসারীদেরকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন।
এছাড়াও তাঁর অনেক যোগ্য খলিফা রেখে গেছেন তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন-
- হযরত মাওলানা হবিবুর রহমান, রারাই, জকিগঞ্জ, সিলেট, সাবেক অধ্যক্ষ, ইছামতি কামিল মাদ্রাসা, সিলেট।
- হযরত মাওলানা নজমুদ্দীন চৌধুরী, ফুলতলী, সাবেক অধ্যক্ষ, ফুলতলী কামিল মাদ্রাসা, জকিগঞ্জ, সিলেট।
- হযরত মাওলানা সৈয়দ মস্তাক আহমদ মাদানী, উজানডিহি, করিমগঞ্জ, ভারত।
- হযরত মাওলানা আব্দুল জব্বার গোটারগামী (র), সাবেক মুহাদ্দিস, ফুলতলী কামিল মাদ্রাসা, জকিগঞ্জ, সিলেট।
- হযরত মাওলানা গোলাম হুসাইন (র), সৎপুর, বিশ্বনাথ, সিলেট।
- হযরত মাওলানা আবুল ফজল ইর্শাদ হোসাইন গোয়াহরী (র), বিশ্বনাথ, সিলেট।
- হযরত মাওলানা আব্দুল মুকিত মঞ্জলালী (র), মঞ্জলাল, দক্ষিণ সুরমা, সিলেট।
- হযরত মাওলানা হাফিয নুরুল হক বিলপারী (র), নিজচৌকি, বিলপার, হবিগঞ্জ।
- হযরত মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছ আমরুটী (র), চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ।
- হযরত মাওলানা রইছ উদ্দিন হামজাপুরী (র), বিশ্বনাথ, সিলেট।
- হযরত মাওলানা শুয়াইবুর রহমান বালাউটি।
- হযরত মাওলানা আব্দুল জব্বার, হাইলাকান্দি, ভারত।
তাঁরা তাঁর রেখে যাওয়া খেদমত আঞ্জাম দিচ্ছেন।
সূত্র : bn wikepedia org/fb