নিউজ ডেস্ক : মৌলভীবাজারে সদ্য যোগদানকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ যোগদানের পর থেকে তটস্থ এখন ওই জেলার দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্তারা। জুড়ী ও বড়লেখা সফরে পুলিশ সুপারের ‘১৬ বছরের চাকরি জীবনে ১৬ পয়সাও দুর্নীতি করিনি বলে নিজ মুখের ঘোষনা শুনে পুলিশ সুপারের বিষয়ে আরও আতংক বেড়েছে । সরকারি বেতনের টাকায় চলি। সুতরাং আমার নামে কেউ জনগণের কাছ থেকে পয়সা নিতে পারবে না। এ ম্যাসেজটা সবার কাছে পৌঁছাবেন। কিভাবে কাজ করতেছি এমনটাই বলেন পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ।
তিনি বলেন, ‘আমার পুলিশ দিয়ে কোনো মানুষ অন্যায়ভাবে যেনো ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। আমার পুলিশ দ্বারা যদি জনগনের কোনো ক্ষতির খবর পাই; তবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সকল মানুষ দূরের জেলা সদরে আমার কাছে অনেক সময় যেতে পারবে না। তাই থানা হবে জনগনের আশ্রয়স্থল,জনগনের সেবা কেন্দ্র।’
পুলিশ সুপার মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘হয় মাদক ছাড়ো; না হয় মৌলভীবাজার ছাড়ো। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’ সকল অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার কাজ চলছে জানিয়ে পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘অপরাধীদের তালিকা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে জনগণের সহযোগিতা খুব প্রযোজন। জনগনের কাছে তালিকা দেওয়া হবে। যাতে জনগণের সহায়তায় দ্রুত সময়ে অপরাধীদের সনাক্ত করা যায়।’
তিনি বলেন, ‘থানার ওসিকে মাদকের বিষয়ে ফোন করে তথ্য জানাবেন। ওসি যদি ব্যবস্থা না নেন; আর ওই এলাকায় মাদকের বিস্তারের খবর পাওয়া যায় তাহলে ওসিকে জবাবদিহি করতে হবে।’
পুলিশ সুপার সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজারের বড়লেখায় মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও ইভটিজিং এর বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে বড়লেখা থানা পুলিশ এ সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হকের সভাপতিত্বে ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জসীম ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রভাকর রায়ের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সারোয়ার আলম, বড়লেখা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান, কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি আনোয়ার উদ্দিন, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সুন্দর প্রমুখ।