উন্মুক্ত কলাম : কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী হতে হবে
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:২৭:৫১,অপরাহ্ন ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৯১৬ বার পঠিত
মোঃ আব্দুল লতিফ : আজকাল প্রায়ই দেখি নেতারা যখন লম্বা লম্বা আশ্বাস মূলক বক্তব্য দেন তখন জনসাধারণ হৈ, উল্লাস, সাবাস সাবাস দিয়ে সাধুবাদ জানান।এতেই যেন সবাই মহা খুশি। সবাই মনে করেন বক্তব্যে যেন সব প্রাপ্তি হয়েগেছে।
আমাদের এই নীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আশ্বাসে নয়, কাজে বিশ্বাসী হতে হবে। গেল ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে জয়লাভ করেন জাতীয় নেতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকির ডাকে যে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন, চারটি বছর যিনি গারদ পাহাড়ের পাদদেশে কাটাতে হয়েছিল, ১৯৮৯ সালে ডাকসুর নির্বাচনে জয়লাভ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি উত্তোলনের মধ্য দিয়ে যিনি আওয়ামীলীগের পক্ষে ১৯৭৫ এর পর প্রথম বিজয় এনে দিয়েছিলেন ( যে সময় ঢাকায় আওয়ামীলীগের অনেক সিনিয়র নেতাদের বাসায়ও জাতির জনকের ছবি রাখতে ভয় করতেন ) জাতীর জনকের মানসপুত্র, জননেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ জয়লাভ করেন জনগনের প্রাণবন্ত ভালোবাসায়।
তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই মৌলভীবাজার-২ তথা কুলাউড়ার জনগন কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণের প্রত্যাশা করছেন। তিনি কুলাউড়ার জনগনের কথা ভাবছেন, কিভাবে পিছিয়ে পড়া কুলাউড়াকে উন্নয়নের স্বর্নশিখরে নিয়ে যাওয়া যায় তাই নিয়ে ব্যস্ত অর্থাৎ জনগনের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণের লক্ষেই কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছেন।
এ দিকে কিছু অসাধু ব্যক্তিরা সাধারন জনগনকে নানা ভাবে বিভ্রান্ত করার লক্ষে নানা অযৌক্তিক মিথ্যাচার ছড়ানো নিয়েই ব্যস্ত।
★বরমচালের ট্রেন দূর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেকেই অনেক ভাবে মন্তব্য করেছেন। সেই রাতে এম.পি মহোদয়ের ফোন পেয়ে আমরা অনেকেই বরমচাল এবং কুলাউড়ায় দূর্ঘটনা কবলিত মানুষকে সহযোগীতা করেছি। সেই রাতে তিনি জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন সহ অনেককেই ফোন করেছেন এবং তাদের সর্বাত্মক সহযোগীতা করার কথা বলেছেন।তিনি যদি সংসদে কথা না বলতেন তাহলে হয়তো মন্ত্রি মহোদয় দের এখানে আসা হতো না। সেই দূর্ঘটনার পর কুলাউড়া বাসি যে দাবি জানিয়েছিল তা ২০২১ সালের মধ্যেই সম্পুর্ন হবে, শুধু মাত্র সময়ের ব্যাপার।
★প্রাকৃতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দের যা করার প্রয়োজন ছিলো তিনি তা করেছেন। মনু নদীর ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা করে দিয়েছেন এবং সেই কাজ গুলা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সমাজের সচেতন মানুষককে সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলেছেন অর্থাৎ কাজ তদারককারী গুণী ব্যক্তিরা রয়েছেন এবং ভবিষ্যতে যাতে নদী ভাঙন না হয় সেই পরিকল্পনা মাফিক কাজ চলছে। ১৯৯৬-২০০১ এর আগের ও পরের সময়কাল কিভাবে চলেছে তাও আপনারা অজানার কথা না। কে কি উন্নয়ন করেছে তাও আপনারা জানেন।
★গেল ১৮ বছর কিভাবে চলেছে তা আপনারা ভালো করেই জানেন। তেলের মাথায় তেল দেওয়া হয়েছে। দালাল- চাটুকারের পকেট ভারী করা হয়েছে। জনগন তাদের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সেই দিন আর নাই। এমনও ইতিহাস রয়েছে মসজিদ নাই অথচ ১৭/১৮ টা অনুদান নেওয়া হয়েছে মসজিদের নামে। সোলার,গভীর নলকূপ, নলকূপ, টিন ইত্যাদি যারা পাওয়ার উপযোগী না, তাদের দেওয়া হয়েছে। এই বছর আপনারা অনেকেই দেখেছেন মসজিদ, মাদরাসা, মন্দির বা আখড়া তে ৪৪০০০/৫০০০০ টাকার অনুদান দেওয়া হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে যা আমরা পূর্বে দেখি নাই। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝেও ঢেউ টিন ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে। আরও অনেক কিছু সাহায্য প্রদান করা হয়েছে। এক কথায় এখন থেকে যে যা পাওয়ার উপযোগী সেই পাবে। দালালী আর বাটপারি আর চলবে না। সে জন্য বর্তমান সচেতন যুবসমাজ ও ছাত্রসমাজকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
আমাদের এম.পি মহোদয় কথায় বিশ্বাসী না, কাজে বিশ্বাসী। আলো আসছে, আলো আসবেই।
লেখক : মোঃ আব্দুল লতিফ, সভাপতি, কুলাউড়া ছাত্রকল্যান পরিষদ।