ভীষণ প্রয়োজনের সময় ত্রাতা হয়ে এলেন লুইস সুয়ারেজ। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে গোল করে উরুগুয়েকে সমতায় ফেরালেন এবং ম্যাচ নিয়ে গেলেন টাইব্রেকারে। সের্হিও রোচেতের নৈপুণ্যে শেষ হাসি হাসল দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। রোমাঞ্চকর ম্যাচে কানাডাকে হারিয়ে তৃতীয় হলো মার্সেলো বিয়েলসার দল।
বাংলাদেশ সময় রবিবার সকালে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে পেনাল্টি শুটআউটে ৪-৩ ব্যবধানে জয় পায় উরুগুয়ে। মূল ম্যাচ শেষ হয় ২-২ সমতায়। প্রথম দুই শটে দুই দলই গোল করে। তৃতীয় শটে কানাডার ইসমায়েল কোনো তালগোল পাকিয়ে ফেলেন, কিন্তু উরুগুয়ে বরাবরই সফলতা দেখায়। টানা চার শুটের সবগুলোতেই কানাডার জাল কাঁপায় তারা। পঞ্চম শুটে কানাডা ব্যর্থ হওয়ায় জয় নিশ্চিত হয় উরুগুয়ের।
কোপা আমেরিকায় এবার চমক দেখিয়েছে কানাডা। প্রথমবারের মতো এই টুর্নামেন্ট খেলতে এসেই সেমিফাইনালে উঠেছে তারা। আজ ক্যারোলিনার ব্যাংক অব আমেরিকার স্টেডিয়ামেও দুর্দান্ত ছিল জেসি মার্শের শিষ্যরা। ম্যাচে বল দখল, লক্ষ্যে শট, গোলচেষ্টা, কর্নার- সবদিকেই উরুগুয়ের চেয়ে এগিয়ে ছিল কানাডা। এছাড়া আজকের ম্যাচে জয়ের সম্ভাবনাও তৈরি করেছিল কানাডা। ৮০ মিনিটে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল উত্তর আমেরিকার দলটি, তবে লুইস সুয়ারেজের ৯২ মিনিটের গোলে সেই লিড হারিয়ে ফেলে তারা।
তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচটিতে ৮ মিনিটেই এগিয়ে যায় উরুগুয়ে। সেবাস্টিয়ান ক্যাসিরেসের কর্নার থেকে আসা বলে বাঁ পায়ের সহজ শটে গোল করেন বেনটেনকার। উরুগুয়ের গোল শোধ করতে খুব বেশি দেরি করেনি কানাডা। ১৪ মিনিটে ইসমায়েল কোনোর গোলে সমতায় ফেরে তারা।
৮০ মিনিট পর্যন্ত খেলা ১-১ সমতায় ছিল। কিন্তু এরপরই চমক দেখায় কানাডা। জোনাথন ডেভিডের গোলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় তারা। পিছিয়ে পড়ে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে উরুগুয়ে। ৯২ মিনিটে হোসে মারিয়া গ্রিমেনেজের ক্রস থেকে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন উরুগুয়ের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা। আন্তর্জাতিক ফুটবলে এটি সুয়ারেজের ৬৯তম গোল। এতে ২-২ গোলে সমতায় ফেরে উরুগুয়ে।