রাজত্ব পুনরুদ্ধার করল রিয়াল মাদ্রিদ, আবারো ইউরোপ সেরার ট্রফিতে চুমু আঁকল। এই নিয়ে ১৫তম বার তারা চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় করল, যা প্রমাণ করে মাদ্রিদই যে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ কথা। ট্রফিটা যেন পরিণত হয়েছে তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে!
দুর্দান্ত প্রতাপ ধরে রেখেও বরুশিয়া ডর্টমুন্ড পারল না এই গল্পে বদল আনতে। তারা হেরেছে ০-২ গোলে। ওয়েম্বলিতে ইতিহাস গড়ার সব চেষ্টাই করেছিল ডর্টমুন্ড, কিন্তু ফুটবলে সেই কাঙ্ক্ষিত গোলটাই আসেনি। রিয়ালের গল্প ছিল অন্যরকম; আধিপত্য না থাকলেও তারা ঠিকই গোল পেয়েছে।
শনিবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হয় রিয়াল মাদ্রিদ ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। লণ্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খেলায় ২-০ গোলে জয়ী হয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
প্রথমার্ধ ছিল রিয়ালের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং। বলের দখলে পিছিয়ে থাকলেও ডর্টমুন্ডের আক্রমণ ছিল ভীতিজনক। থিবু কোর্তুয়া এবং গোলপোস্টের কারণে তারা গোল পায়নি। বিপরীতে রিয়ালও প্রথমার্ধে বড় কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যভাবে।
দ্বিতীয়ার্ধে রিয়াল মাদ্রিদ ঘুরে দাঁড়ায়। দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটে টনি ক্রুসের বাঁকানো ফ্রি কিক কর্নারের বিনিময়ে ফেরান ডর্টমুণ্ড গোলরক্ষক। কর্নার থেকে দানি কারভাহালের হেড ক্রসবারের একটু ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।
৬৩ ও ৬৫ মিনিটে ভিনিসিউস ও রদ্রিগোর আক্রমণ ঠেকিয়ে দেয় ডর্টমুন্ডের রক্ষণভাগ। ৬৬ মিনিটে ক্রুসের কর্নার থেকে হ্যামেলসের বাধা পেয়ে ক্রস বাড়ান ক্রুস, কিন্তু ভিনি হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। ৬৮ মিনিটে আরেকটি সুযোগ মিস করে তারা।
অবশেষে ৭৪তম মিনিটে আসে প্রথম গোল। টনি ক্রুসের করা কর্নার থেকে পাওয়া বল জালে পাঠান কারভাহাল। এতে রিয়াল মাদ্রিদ ১-০ গোলে এগিয়ে যায়। ডর্টমুন্ডের রক্ষণভাগ ভেঙে পড়তে শুরু করে।
৭৬ মিনিটে বেলিংহ্যাম সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। ৮০তম মিনিটে ক্রুসের ফ্রি কিক ফেরান ডর্টমুন্ড গোলরক্ষক। ৮৩ মিনিটে ভিনিসিউস জুনিয়র বেলিংহ্যামের পাস থেকে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
৮৬ মিনিটে ফুলক্রুগের হেড থেকে বল জালে গেলেও অফসাইডের কারণে গোল বাতিল হয়। ফলে ২-০ গোলের জয় নিয়েই রিয়াল মাদ্রিদ শিরোপা নিশ্চিত করে।
১১ বছর আগে এই মাঠে অল জার্মান ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে হেরেছিল ডর্টমুন্ড। এবারও দ্বিতীয়বার ইউরোপ সেরার মুকুট পরার স্বপ্ন ভঙ্গ হলো তাদের।
এই শিরোপা নিয়েই রিয়াল মাদ্রিদকে বিদায় জানালেন টনি ক্রুস। রিয়ালের হয়ে ছয়বার চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় করেছেন তিনি। তার সাথে আরো চার সতীর্থ; লুকা মদরিচ, নাচো এবং দানি কারভাহালও ছয়বার করে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় করেছেন। এর আগে ছয়বার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিলেন রিয়ালের পাকো হেন্তো।