সোনাগাজী ও দাগনভূঞা ছাড়া ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ফুলগাজী, পরশুরাম এবং ছাগলনাইয়া থেকে পানি কমেছে, তবে নতুন করে কিছু ইউনিয়ন নতুন করে নিমজ্জিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ রোববার (২৫ আগস্ট) ফেনী জেলা প্রশাসন এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রশাসন জানিয়েছে, সোনাগাজী ও দাগনভূঞার অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ। বর্তমানে ফেনী সদর, ফুলগাজী ও সোনাগাজীর মানুষের জন্য ত্রাণের তীব্র প্রয়োজন। যদিও কিছু এলাকাতে ত্রাণের বিতরণে বাধা সৃষ্টির অভিযোগও এসেছে।
ফেনী শহরে কোমরের সমান পানিতে ডুবে থাকা কিছু সড়ক আজ দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। সালাউদ্দিন মোড়, বারাই উত্তরা ও মহিলা ক্যাডেট কলেজ সড়কে যানবাহন চলতে দেখা গেছে। তবে, রামপুর, মাস্টার পাড়া, একাডেমি, বিরিঞ্চি, পাঠানবাড়ি সহ অন্যান্য সড়কগুলো এখনও পানিতে তলিয়ে আছে। শহরের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রয়েছে, কিন্তু ৯৫ শতাংশ জায়গায় বিদ্যুৎ নেই।
বর্তমানে ফেনী সদর এবং সোনাগাজী-দাগনভূঞাসহ প্রায় ৬ লক্ষ মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। এ পর্যন্ত ৩০ হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। বন্যার কারণে নিহত বা নিখোঁজ ব্যক্তির সংখ্যা নিয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনের মালামাল এখনও গাড়িতেই পঁচে যাচ্ছে।