বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করেছেন যে, বাংলাদেশকে ব্যর্থ ও নতজানু দেশে পরিণত করতে বিডিআর হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। তার মতে, এই ষড়যন্ত্রে দেশি-বিদেশি কুচক্রীদের হাত ছিল।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মেজর হাফিজ বলেন, এই হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিত ছিল এবং শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের মদদে সংঘটিত হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন যে, ২০০৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীর বাসায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে বিডিআর সৈনিকদের বৈঠকে এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
মেজর হাফিজ দাবি করেন, বর্তমান নিরপেক্ষ সরকারের সময়ে সব ঘটনা উন্মোচন করা উচিত। তিনি লে. জেনারেল জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশের আশাবাদ ব্যক্ত করেন, যা তখন প্রকাশ করা হয়নি।
তিনি তৎকালীন সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদের দুর্বলতা উল্লেখ করে বলেন, আওয়ামী লীগের প্ররোচণায় অফিসারদের রক্ষা করতে যাননি তিনি এবং এই হত্যাকাণ্ডের দায় এড়াতে পারেন না।
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পর শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ড রহস্যজনক বলে মন্তব্য করে মেজর হাফিজ বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে শেখ হাসিনার বৈঠক হয়েছিল যেখানে সেনা কর্মকর্তারা ঘটনার কৈফিয়ত দাবি করেছিলেন। এরপর ৫০-৬০ জন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয় এবং তারা নিগ্রহের শিকার হন।
তিনি আরও বলেন, জনগণের বিশ্বাস, বিডিআর হত্যাকাণ্ডে বিদেশি ষড়যন্ত্র ছিল। বর্তমান সরকারের পুনর্বিচার ও তদন্তের সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে সম্পাদনের জন্য আহ্বান জানান এবং বলেন যে, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত হলে নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।