কূটনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে কানাডার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারসহ ছয়জন কূটনীতিককে ভারত থেকে বহিষ্কার করেছে দেশটির সরকার। তাদের ভারত ছাড়ার জন্য ১৯ অক্টোবর রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বহিষ্কৃত কূটনীতিকদের মধ্যে রয়েছেন ভারতে নিযুক্ত কানাডার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার স্টুয়ার্ট রস হুইলার, ডেপুটি হাইকমিশনার প্যাট্রিক হেবার্ট, ফার্স্ট সেক্রেটারি মেরি ক্যাথরিন জোলি, ইয়ান রস ডেভিড ট্রাইটস, অ্যাডাম জেমস চুইপকা এবং পলা অর্জুয়েলা।
এর আগে, কানাডায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার সঞ্জয় কুমার ভার্মাকে দেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় নয়া দিল্লি। কানাডায় শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভার্মা ও অন্যান্য ভারতীয় কূটনীতিকদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠার পর এই সিদ্ধান্ত আসে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কানাডায় চরমপন্থা ও সহিংসতার পরিবেশে ভারতীয় কূটনীতিকদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। অটোয়া থেকে দেওয়া নিরাপত্তার নিশ্চয়তায় ভারতের আস্থা না থাকায় কূটনীতিকদের ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০২৩ সালে খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জর কানাডায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। তিনি ভারতের পাঞ্জাবে একটি স্বাধীন খালিস্তান রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে ছিলেন। নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারত জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তবে ভারত সরকার সেই অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে অস্বীকার করেছে।
ভারতের হাইকমিশনার সঞ্জয় ভার্মার বিরুদ্ধেও নিজ্জর হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনা হয়। তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সঞ্জয় ভার্মা তার ৩৬ বছরের কর্মজীবনে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে আনা কানাডার অভিযোগ হাস্যকর ও অগ্রাহ্যযোগ্য।
ভারত আরও জানায়, জাস্টিন ট্রুডোর সরকার যেভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদ ও সহিংসতাকে সমর্থন দিচ্ছে, তার প্রতিক্রিয়ায় ভারতের যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার রয়েছে।
এর আগে, ভারত কানাডার ৬২ জন কূটনীতিকের মধ্যে ৪১ জনকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়। এরপর থেকে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এখন ছয়জন কানাডিয়ান কূটনীতিককে বহিষ্কারের ফলে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।