কখনো শিক্ষার্থী হিসেবে হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পা রেখেছিলেন কমলা হ্যারিস। এবার নির্বাচনের রাতে তিনি সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফিরে আসতে চেয়েছিলেন। তবে তা আর হলো না, কারণ মার্কিন জনগণ তাদের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বেছে নিয়েছেন, কমলা হ্যারিসকে নয়।
ফলে কমলা হ্যারিস বিজয়ী হিসেবে নয়, বরং পরাজিত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে এলেন। তার সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা সেখানে ভিড় করেছিলেন। যদিও বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিলেন না, তিনি ওয়েস্ট উইং থেকে হ্যারিসের ভাষণ শুনেছেন।
ভাষণের শুরুতেই হ্যারিস আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয় মেনে নেন। তিনি বলেন, “এই নির্বাচনের ফল আমাদের প্রত্যাশিত ছিল না, এজন্য আমরা লড়াই করিনি, ভোট দেইনি। তবে শোনো, যতদিন আমরা হাল ছাড়ব না, ততদিন আমেরিকার সম্ভাবনা অক্ষুণ্ন থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, আমরা আবেগে অভিভূত। আমি তা বুঝতে পারি। তবে আমাদের এই নির্বাচনের ফল মেনে নিতে হবে। আমি প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ট্রাম্পকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছি।
তবে ফল মেনে নেওয়ার পরও হ্যারিস দৃঢ় প্রত্যয়ে ঘোষণা দেন, “আমরা ভোটিং বুথে, আদালতে, জনসমাগমে লড়াই চালিয়ে যাব। আমেরিকার সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য এবং গণতন্ত্রের সুরক্ষায় আমার সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।”
উল্লেখ্য, এই নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন কমলা হ্যারিস। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ট্রাম্প পেয়েছেন ২৯৫ ইলেক্টোরাল ভোট, যেখানে হ্যারিসের ভোট সংখ্যা ২২৬। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে ২৭০ ভোটই প্রয়োজন।