সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি আবেদন আজ থেকে শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীরা বেলা ১১টা থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবে, এবং এ আবেদন প্রক্রিয়া চলবে ৩০ নভেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এরপর ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের চূড়ান্তভাবে বাছাই করে ভর্তি করানো হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) জানিয়েছে, এবার ভর্তির আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা, যা টেলিটকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।
অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় পছন্দক্রম অনুযায়ী নির্বাচন করতে পারবে। ডবল শিফটের স্কুল হলে উভয় শিফট পছন্দ করতে পারলে দুটি পছন্দক্রম হিসেব করা হবে। সরকারি-বেসরকারি স্কুলে একটি শাখায় সর্বোচ্চ ৫৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে। আবেদন প্রক্রিয়া শেষে লটারি হবে, এবং লটারির সম্ভাব্য তারিখ ঠিক হয়েছে ১০ ডিসেম্বর। ১২ ডিসেম্বর ফল প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে প্রয়োজনে তারিখ পরিবর্তন হতে পারে।
চূড়ান্ত ভর্তি কার্যক্রম ১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি কার্যক্রম ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে, এবং দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি ২৬ থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে। মফস্বল এলাকার বিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ টাকা, উপজেলা ও পৌর এলাকায় ১ হাজার টাকা, মহানগর এলাকায় (ঢাকা ব্যতীত) ৩ হাজার টাকা, আর ঢাকার এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়ে ৫ হাজার টাকা। আংশিক এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ফি ৮ হাজার টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনের ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। উন্নয়ন ফি হিসেবে সর্বাধিক ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা যাবে।
ভর্তি প্রক্রিয়ায় ৬৮ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ ক্যাচমেন্ট এলাকার জন্য, ৫ শতাংশ বীর ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য, ১ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তরের কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য, ১০ শতাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের জন্য, ২ শতাংশ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য এবং ৫ শতাংশ যমজ বা সহোদর শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত।
পূর্বে মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং নাতি-নাতনিরা কোটার আওতায় থাকলেও এবার শুধু সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। এই কোটায় প্রার্থী না থাকলে মেধা তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।