যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কো রুবিওকে পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছেন। ফ্লোরিডায় জন্ম নেয়া এই রাজনীতিবিদ আমেরিকার প্রথম লাতিনো হিসেবে শীর্ষ কূটনীতিকের পদে নিযুক্ত হতে যাচ্ছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) এই তথ্য নিশ্চিত হয়েছে।
২০১৬ সালে ট্রাম্পের বিপক্ষে রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা রুবিও তখন ট্রাম্পের সঙ্গে তীব্র বাকযুদ্ধে জড়ান। সে সময় ট্রাম্প রুবিওকে ‘লিটল মার্কো’ নামে আক্রমণ করেন, এবং রুবিও ট্রাম্পের ‘ছোট হাত’ নিয়ে কটাক্ষ করেন। তবে রিপাবলিকান মনোনয়ন না পেলেও পরবর্তীতে রুবিও ট্রাম্পের অন্যতম সমর্থক হয়ে ওঠেন এবং নির্বাচনি প্রচারণায় তাকে সঙ্গ দেন।
প্রথমদিকে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে রুবিওকে বিবেচনা করা হলেও শেষমেশ জেডি ভ্যান্সকে সেই স্থানে মনোনীত করা হয়। চীন, ইরান, এবং কিউবার বিষয়ে কড়া পররাষ্ট্রনীতির পক্ষে দীর্ঘদিন থেকেই রুবিওর অবস্থান স্পষ্ট।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রুবিও বলেন, রাশিয়ার দখলে থাকা অঞ্চলগুলো পুনরুদ্ধারের দিকে না গিয়ে ইউক্রেনের উচিত রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় মনোযোগ দেয়া। গত এপ্রিল মাসে ইউক্রেনের জন্য ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজের বিরুদ্ধে ভোট দেয়া ১৫ জন রিপাবলিকান সেনেটরের মধ্যে রুবিও ছিলেন একজন।
উল্লেখ্য, রুবিওর দাদা ১৯৬২ সালে কিউবা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। কিউবার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে রুবিও বরাবরই বিরোধিতা করেছেন, যা ট্রাম্পও সমর্থন করেন। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্পের শপথগ্রহণ আগামী ২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।