পাকিস্তান ক্রিকেট দল কানাডাকে বিপক্ষে অন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১০৬ রানে থামিয়ে ৭ উইকেটে জয় লাভ করে। এ ম্যাচে পাকিস্তান তাদের প্রথম জয় অর্জন করে। মোহাম্মদ রিজওয়ান একটি অবদান রেখে জয়ের সাথে অংশগ্রহণ করেন।
নিউইয়র্কের নাসাউ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার পাকিস্তান বিপক্ষে কানাডা প্রথমে ব্যাট করে ১০৬ রানে থামল। পরে পাকিস্তান টার্গেট হারিয়ে জয় লাভ করে ৭ উইকেটে। মোহাম্মদ রিজওয়ান অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ব্যক্তিগত ৩ উইকেটে হারিয়ে ১৫ বলের অধিকাংশ সময় ধরে জয়ের সাথে অংশগ্রহণ করেন। তার সাথে মিলিয়ে বাবর আজম ওয়ান দুই চার ও একটি ছক্কায় ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। এছাড়াও, বাবর আজম মোহাম্মদ রিজওয়ানের সহযোগিতায় একটি চার ও একটি ছক্কায় ৩৩ রান করেন, যা দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
এই দিনে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বিপক্ষে কানাডা প্রথমে ব্যাট করে ১০৬ রানের টার্গেট সেট করতে পারেননি। মোহাম্মদ আমির, হারিস রউফ, শাহিন শাহ আফ্রিদি এবং নাসিম শাহ এর গতির মুখে বাংলাদেশি বোলাররা কানাডার ব্যাটিং লাইনকে নিয়মিতভাবে বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৭ উইকেটে ১০৬ রান করতে বাধা দেওয়ার জন্য পাকিস্তান দলের জন্য একটি কার্যকর দিন হয়েছিল।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেছেন অ্যারন জোন্স, যে প্রথম অধিনায়ক হিসেবে খেলেছিলেন। এছাড়াও, ১৩ রান করেছেন করিম সানা এবং ১০ রান করেছেন অধিনায়ক সাদ বিন জাফর। অন্যান্য ব্যাটসম্যানরা কোনও দুই অঙ্কের ফিগার রান করতে পারেননি।
পাকিস্তানের দিকে হয়ে মোহাম্মদ আমির এবং হারিস রউফ দুটি উইকেট নিয়েছেন। আর একটি উইকেট নিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহ।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দল পর্যন্ত ২০ রানের জয় পেল ওপেনার সাইম আইয়ুব। তিন নম্বর পজিশনে অধিনায়ক বাবর আজম মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে ৬৩ রানের উত্তপ্ত যুক্তি গড়ে তুলেছিলেন।
পরবর্তীতে, ২১ রানের ব্যবধানে বাবর আজম এবং ফখর জামান উইকেট হারালেন পাকিস্তান। বাবর আজম ৩৩ বলে ৩৩ রান করলেও ফখর জামান বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ করে ফেলেন। তিনি আগে ৬ বলে মাত্র ৪ রান করেছিলেন। তবে ইনিংস শুরু করতে নেমে রিজওয়ান দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।
২০০৯ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আজ পাকিস্তান কানাডার বিপক্ষে জয়ের পথে ২ পয়েন্ট অর্জন করেছিল। আগামী রোববারে তারা আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে উপস্থিত হবেন।