বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপিতে নারী ফুটবলারদের অর্জনে সংবর্ধনা
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অগ্রণী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। ১৯৮৫ সালে পুরুষ ফুটবল দিয়ে বিকেএসপির যাত্রা শুরু হলেও নারী ফুটবল যুক্ত হয়েছে মাত্র ছয় বছর আগে। এই স্বল্প সময়ে বিকেএসপির নারী ফুটবলাররা দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। কাঠমান্ডু সাফে চ্যাম্পিয়ন হওয়া ২৩ জনের মধ্যে পাঁচজন বিকেএসপির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী।
আজ বিকেলে বিকেএসপি ক্যাম্পাসে সাফ জয়ী নারী ফুটবলারদের জন্য সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ আউয়াল প্রধান অতিথি হিসেবে স্বপ্না রানী, আফিদা খন্দকার প্রান্তি, ঋতুপর্ণা চাকমা, শাহেদা আক্তার রিপা এবং সাগরিকার হাতে ২৫ হাজার টাকার সম্মাননা পুরস্কারের চেক তুলে দেন। অনুষ্ঠানে বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মুনীরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, বিকেএসপি কাপ নারী ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বিকেএসপি লাল দল। ফাইনালে তারা ৩-০ গোলে বিকেএসপি সবুজ দলকে পরাজিত করে। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন সবুজ দলের লিমা, এবং সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে সাগরিকা পুরস্কৃত হন, যিনি লাল দলের হয়ে ১০ গোল করেছেন।
চার দিনব্যাপী বিকেএসপি কাপ নারী ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪ এ ১৬টি দল অংশগ্রহণ করে, এর মধ্যে বিকেএসপির দুটি দল ছাড়াও বিভিন্ন একাডেমি ও ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়, যেমন সাতক্ষীরার স্টুডেন্ট ফুটবল একাডেমি, বগুড়ার রক্সি ফুটবল একাডেমি, সিলেটের সুগন্ধা এফসি, রাজশাহী ফুটবল এসোসিয়েশন, এবং ঠাকুরগাঁওর রাঙ্গাটুঙ্গী ইউনাইটেড মহিলা ফুটবল একাডেমি।