সরকারি তিতুমীর কলেজের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে। একইভাবে, রাওয়া ক্লাবের কাছ থেকে মহাখালী রেলগেট পর্যন্ত সড়কে সেনাবাহিনীর শতাধিক সদস্য অবস্থান নিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে মহাখালী রেলগেট, আমতলী এবং আশপাশের কিছু এলাকায় তারা অবস্থান করেন।
প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবি না মেলার কারণে সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন। এর পরদিন, তারা আজ বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মহাখালী সড়ক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তাদের কর্মসূচির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সদস্যরা কলেজের মূল ফটকের সামনে ও ভিতরে অবস্থান নেন। তবে, পুলিশ মোতায়েনের ব্যাপারে কোনো কর্মকর্তা মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মোস্তফা রেমান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘‘এভাবে পুলিশ মোতায়েন করে কিছু হবে না, আমাদের দাবি মেনে নিতে হবে। তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করতে হবে।’’
নুরুদ্দিন নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘‘এটা কি তিতুমীর কলেজ, নাকি যুদ্ধের ময়দান? পুলিশদের উপস্থিতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে কী বার্তা দিতে চাচ্ছে?’’
শাকিল আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘‘তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হোক বা না হোক, পুলিশ লাইন তো ঠিকই হয়ে গেছে। আমার ক্যাম্পাসে পুলিশ কেন?’’
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে মহাখালী রেলক্রসিং এলাকায় সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন, যা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলেছিল। পরে তারা কিছু সময়ের জন্য উঠে গিয়ে ফের কলেজের সামনে সড়কে বসে পড়েন এবং কলেজ বন্ধের ঘোষণা দিয়ে মঙ্গলবারও অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।