রাজধানীর ডেমরার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে (ডিএমআরসি) কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজসহ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় কলেজটি রণক্ষেত্রে পরিণত হয় এবং উভয় পক্ষের সংঘর্ষে আহত হন বেশ কয়েকজন।
হামলাকারীরা কলেজ ভবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম ভাঙচুরের পাশাপাশি সেগুলো নিয়ে যায়। ঘটনার পর পুলিশ উপস্থিত হয়ে ডিএমআরসির শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করে এবং হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়।
সোমবার সকাল থেকে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে লাঠিসোঁটা নিয়ে জড়ো হন। পরে তারা সাত কলেজের অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একত্র হয়ে রায়সাহেব বাজারের দিকে অগ্রসর হন। পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ভেঙে তারা ডেমরার মোল্লা কলেজে হামলা চালান।
এ ঘটনার সূত্রপাত হয় রোববার (১৭ নভেম্বর) ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসকের গাফিলতিতে ডিএমআরসির শিক্ষার্থী অভিজিতের মৃত্যুর অভিযোগ থেকে। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীরা হাসপাতাল ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে যা পরিণত হয় সংঘর্ষ ও ভাঙচুরে।
সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা হাসপাতাল এবং ডেমরার কলেজে হামলার জন্য দোষারোপ করেন। হামলার সময় পরীক্ষারত শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে ছুটোছুটি করেন। শিক্ষার্থীদের দাবি, এই ঘটনায় ন্যাশনাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে বিচারের আওতায় আনা হোক।
এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, সংঘর্ষ ও ভাঙচুর চলাকালে পুলিশ নিস্ক্রিয় ছিল। তবে লালবাগ জোনের পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, তারা হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে অবগত নন।
ভাঙচুরের ফলে ডিএমআরসি ছাড়াও সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ এবং ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।