চট্টগ্রামে আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম ওরফে আলিফ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। একই সঙ্গে ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়েছে। এ নিয়ে আইনজীবী মনিরুজ্জামান হাইকোর্টে ইসকন নিষিদ্ধের আবেদন করেছেন।
বুধবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদন জমা দেওয়া হয়। আদালত রাষ্ট্রপক্ষের মতামত জানতে জরুরি ভিত্তিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানকে ডেকে পাঠান।
আদালতে উপস্থিত হয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “এ ঘটনায় সারা দেশের মানুষের মতো আমারও গভীর বেদনা রয়েছে। তবে এখনই এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়া উত্তম। সরকার ইতোমধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে। এটি সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা।”
তিনি আরও বলেন, কেউ কেউ বিভিন্ন দিক থেকে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তবে সরকার জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে এই সংকট মোকাবিলায় কাজ করছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
আলোচনার সময় হাইকোর্ট জানতে চান, “এরা কারা? এদের পরিচয় কী? চট্টগ্রাম ও রংপুরে এমন পরিস্থিতি কেন সৃষ্টি হয়েছে?”
অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, সরকার এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে। তবে তিনি বিকালের মধ্যে বিস্তারিত জানানো অসম্ভব বলে একদিন সময় চান।
হাইকোর্ট এই অনুরোধ মঞ্জুর করে বলেন, “কালকের মধ্যে আমাদের একটি প্রতিবেদন দিন। তবে নিশ্চিত করুন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি যেন না ঘটে।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত হন। জানা গেছে, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষ চলাকালে ইসকনের অনুসারীরা আদালত প্রাঙ্গণে হামলা চালালে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম বাধা দেন। এরপর তাকে জোরপূর্বক আদালত প্রাঙ্গণ থেকে তুলে নিয়ে রঙ্গম টাওয়ারের সামনে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। দ্রুত তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।