ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন যে হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও গাজায় সংঘর্ষ চলমান থাকবে। রবিবার ইসরায়েলি মিডিয়ায় দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেন। সাক্ষাতকারে নেতানিয়াহু উল্লেখ করেন যে, গাজায় এখনও আটক সব বন্দীকে মুক্তি দেওয়া না হলেও কয়েকজন বন্দীকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে তিনি ‘আংশিক’ চুক্তি করতে রাজি আছেন।
তবে তিনি স্পষ্টভাবে জানান যে, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধ হবে এমন কোনো শর্তমূলক চুক্তি তিনি মেনে নেবেন না। উল্লেখ্য, পূর্বে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছিল যে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উত্থাপিত ইসরায়েলি প্রস্তাবটি কার্যত যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাবে। রবিবার ইসরায়েলি মিডিয়া আউটলেট চ্যানেল ১৪-তে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হল অপহৃতদের উদ্ধার করা এবং গাজায় হামাসের শাসনের অবসান ঘটানো।”
গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ঘোষণা করেন, যেখানে তিনটি পর্যায়ের কথা উল্লেখ ছিল। প্রথম পর্যায়ে কিছু ইসরায়েলি বন্দীর মুক্তির বিনিময়ে ছয় সপ্তাহের অস্ত্রবিরতির কথা বলা হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্যায়ে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করার প্রস্তাব ছিল। মার্কিন কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছিলেন, এই প্রস্তাব ইসরায়েলের দ্বারাই প্রণীত। তবে নেতানিয়াহু এবং কয়েকজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চলতেই থাকবে। তারা প্রকাশ্যে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটি অনুমোদন করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিলেন।
সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু আরও বলেন, দক্ষিণ গাজার রাফায় ইসরায়েলের ‘তীব্র’ সামরিক অভিযান শেষের পথে।
তিনি বলেন, তবে এর মাধ্যমে বোঝা যায় না যে যুদ্ধ শেষ হয়ে আসছে। বরং এর অর্থ হল, রাফায় যুদ্ধের তীব্রতা শেষ হয়ে আসছে। গত ৭ অক্টোবর গাজায় হামলা শুরুর পর এটি নেতানিয়াহুর প্রথম মিডিয়া সাক্ষাতকার। এই সাক্ষাতকারে তিনি আবারও হামাসের স্থানীয় পশ্চিমতীরভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রশাসনের ধারণাটি নাকচ করে দেন। সূত্র: আল-জাজিরা, টাইমস অব ইসরায়েল