শিরোনাম

এইচএসসিতে ‘অটোপাস’ ভাবছে মন্ত্রণালয়

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৪ মাস আগে

কোটা সংস্কার ও সরকার পতনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের কারণে এইচএসসি পরীক্ষার বেশ কিছু বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল। সরকার পতনের পর সংশোধিত নতুন সময়সূচি ঘোষণা করা হলেও, পরীক্ষাগুলো নিতে ব্যর্থ হয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর আবারও নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হলেও, এবারও পরীক্ষার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। অধিকাংশ পরীক্ষার্থী দাবি করেছে, আন্দোলনের সময় সহপাঠীদের মৃত্যুর কারণে তারা মানসিকভাবে অপ্রস্তুত, তাই তারা অটোপাস চায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শিক্ষার্থী ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর মতামত শুনে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ১১ সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে ১৫ আগস্ট নতুন সূচি ঘোষণার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। গতকালও সারা দেশে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা অটোপাসের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সামনে তারা বিক্ষোভ করেন।

শিক্ষার্থীদের দাবি, আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অনেক সহপাঠী আহত এবং চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া, বিভিন্ন থানায় সংরক্ষিত প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে বাকি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে তারা আগ্রহী নন।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের অটোপাসের দাবি বোর্ডের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়, এটি সরকারের সিদ্ধান্ত। শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় যা সিদ্ধান্ত নেবে, বোর্ড সেটি বাস্তবায়ন করবে।

শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। নতুন শিক্ষা সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ জানিয়েছেন, এখনো এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। দুই পক্ষের মতামত বিচার-বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা গত ৩০ জুন শুরু হয়েছিল। তবে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে ১৮ জুলাই থেকে পরীক্ষাগুলো স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।