গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরতা নতুন মাত্রা পেয়েছে। এবার ত্রাণ সংগ্রহের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা নিরীহ, ক্ষুধার্ত মানুষের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরাইলি বাহিনী। এতে মার্কিন দাতব্য সংস্থার চার স্বেচ্ছাসেবীসহ একদিনেই গাজায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১০০ জন।
আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার (৩০ নভেম্বর) উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ বিমান হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। একক এই হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ৪০ ফিলিস্তিনি।
এর আগে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসে ইসরাইলি বাহিনীর আরেকটি হামলায় খাদ্য সহায়তার অপেক্ষায় থাকা ১২ জন ফিলিস্তিনি এবং দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন ও সেভ দ্য চিলড্রেন-এর চার কর্মী নিহত হন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৪ হাজার ৩৮২ জন ফিলিস্তিনি। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে এক লাখ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ইসরাইলের বাধার কারণে গাজার অর্ধেকের বেশি জনগণের কাছে কোনো খাদ্য সহায়তা পৌঁছানো যাচ্ছে না। চরম খাদ্যসংকটে ভুগছে প্রায় সব অঞ্চল। শিশুরা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে দুর্ভিক্ষ ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে।
এদিকে, উত্তর গাজায় নিষিদ্ধ থার্মোব্যারিক বোমা ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এ ধরনের বোমা কয়েক হাজার ডিগ্রি উচ্চ তাপমাত্রা সৃষ্টি করে, যা মানবদেহকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। আশপাশে থাকা ব্যক্তিদেরও প্রচণ্ড শব্দতরঙ্গে শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অন্যদিকে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য হামাসের একটি প্রতিনিধি দল মিশরের কায়রোতে পৌঁছেছে। প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির সময়সীমা হতে পারে ২০ থেকে ৩০ দিন। এই সময়ের মধ্যে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে জিম্মি বিনিময়ের সম্ভাবনাও রয়েছে।