ইউক্রেনে একের পর এক এলাকা দখল করে নিচ্ছে রাশিয়া। মঙ্গলবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা পূর্ব ইউক্রেনের দুটি গ্রাম নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এই গ্রাম দুটি কুরাখোভ শহরের উত্তরে ও দক্ষিণে অবস্থিত। কুরাখোভ শহরটি পূর্ব ইউক্রেনের সামরিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কেন্দ্র।
এ অঞ্চলে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ আরও দৃঢ় হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জোলোটা নাইভা এবং জোরিয়ানে পারশে নামের দুটি গ্রাম এখন রাশিয়ার অধীনে। এসব গ্রামে শতাধিক বাসিন্দা বসবাস করে। তবে ইউক্রেন সরকার এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ইউক্রেনীয় জেনারেল স্টাফ জানিয়েছেন, কুরাখোভ সেক্টরের পূর্ব ফ্রন্টে রুশ বাহিনীর সঙ্গে বড় ধরনের সংঘর্ষ হয়েছে।
রয়টার্স আরও জানায়, রুশ নিয়োগকৃত ডোনেস্ক প্রশাসনের উপদেষ্টা ইগর কিমাকোভস্কি জানিয়েছেন, রুশ সেনারা শহরের কেন্দ্রস্থলে চারদিক থেকে প্রবেশ করেছে এবং সেখানে বহুতল আবাসিক ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
এদিকে, আঞ্চলিক গভর্নর ওলেক্সান্ডার প্রোকুদিন জানিয়েছেন, রুশ বাহিনীর হামলায় দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসনের শহরতলির ডিনিপ্রো নদীর তীরে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। খারকিভ শহরের মেয়র ইগর তেরেখভ বলেছেন, রাশিয়া একটি শিল্প এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, এতে একজন কিশোরসহ ২১ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, ইউক্রেনীয় সামরিক ব্লগারদের দাবি, রাশিয়ার সৈন্যরা শহরের কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। তবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে দখল নেওয়ার সময় তারা রুশ প্রতিরোধের মুখোমুখি হচ্ছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া পরাজিত হবে।
যুদ্ধ চলার মধ্যে বিভিন্ন সময় শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান এলেও তা সফল হয়নি। দখল, হামলা এবং পাল্টা হামলার কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে এবং সমঝোতার কোনো সম্ভাবনাও এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না।