শিরোনাম

বড়দিনের আগেই জার্মানিতে আস্থা ভোট

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ মাস আগে
ছবি : জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস

প্রবল চাপের মুখে এবার সুর পরিবর্তন করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। জানুয়ারিতে আস্থাভোট দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও, এখন তিনি বড়দিনের আগেই আস্থাভোট নিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। এই বিষয়ে ডয়চে ভেলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

রোববার, শলৎস জানিয়েছেন যে তিনি বড়দিনের আগেই আস্থাভোটে রাজি আছেন। জার্মানির সরকারি ব্রডকাস্টার এআরডি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “যদি সবাই একমত হন, তাহলে বড়দিনের আগেই আস্থাভোট নিতে আমার কোনো সমস্যা নেই। আমি ক্ষমতায় স্থির থাকতে চাই না।”

গত সপ্তাহে, শলৎসের নেতৃত্বে গঠিত তিন দলের জোট ভেঙে যায় এবং জোটের অংশ হিসেবে জার্মানির অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনারকে বরখাস্ত করা হয়। এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আগে আস্থাভোট নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।

প্রাথমিকভাবে শলৎস জানিয়েছিলেন যে তিনি আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি আস্থাভোট নেবেন, তবে এখন তাকে প্রবল চাপের মুখে আস্থাভোট এগিয়ে আনার জন্য সম্মত হতে হয়েছে।

শলৎস জানান, তিনি এই জোট ভাঙার জন্য দায়ী নন এবং কোনো ধরনের উসকানি দেননি। বরং তিনি শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছিলেন যাতে এসপিডি, গ্রিন ও এফডিপির জোট অটুট থাকে।

তিনি বলেন, আমি সহযোগিতা এবং সমঝোতার জন্য চেষ্টা করেছি, কিন্তু কিছু সময়ে খুব বাজে খেলা হয়েছে। এখন সব কিছু শেষ হয়ে গেছে।

সরকারের অর্থনৈতিক নীতি নিয়ে জোটের মধ্যে বিরোধের কারণে শলৎস ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনারকে বরখাস্ত করেন, যার পরিণতিতে জোট থেকে সোস্যাল ডেমোক্র্যাট ও গ্রিন পার্টি অবশিষ্ট থাকে।

শলৎস বলেন, “যে কারণে এই সরকার এতদিন টিকে ছিল, তা ছিল আমার সহযোগিতা এবং সমঝোতার ফল। অন্যথায়, জোট এতদিন টিকত না।” তিনি আরও বলেন, “লিন্ডনারকে বরখাস্ত করা ছিল একটি স্পষ্ট ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।”

ডয়চে ভেলে অনুসারে, আস্থাভোটে শলৎস সম্ভবত পরাজিত হবেন। এর পর জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার ২১ দিনের মধ্যে বুন্ডেসটাগ ভেঙে দেবেন এবং ৬০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন করতে হবে।