দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে অভিশংসনের পর আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শনিবার (স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ২৪ মিনিটে) প্রেসিডেন্ট কার্যালয় এই বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইউন পদে বহাল থাকবেন, যদিও তার নির্বাহী ক্ষমতা সীমিত করা হয়েছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, সামরিক আইন জারির স্বল্পকালীন প্রচেষ্টার কারণে বিরোধী দল ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব পেশ করে। শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদে ভোটাভুটির মাধ্যমে তাকে অভিশংসন করা হয়।
৩০০ আসনের জাতীয় পরিষদে অভিশংসনের পক্ষে ভোট পড়ে ২০৪টি, বিপক্ষে ভোট দেন ৮৫ জন। ভোটের আগে ইউনের দল পিপল পাওয়ার পার্টির (PPP) অন্তত ১২ জন সদস্য বিরোধী শিবিরে যোগ দেন। বিরোধীদের ১৯২টি আসনে নিয়ন্ত্রণ থাকায় দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন পাওয়া সহজ হয়।
অভিশংসনের ফলে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের ক্ষমতা ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী হ্যান ডাক-সুর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের হাতে থাকবে:
অন্যদিকে ইউন তার সামরিক ক্ষমতা হারাবেন, যার মধ্যে রয়েছে:
এছাড়া সরকারি কর্মকর্তা, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং সাংবিধানিক আদালতের শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা থেকেও তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
অভিশংসনের পর ইউন সুক-ইওলের ভাগ্য নির্ধারণ করবে দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালত। আদালতের ৯ সদস্যের মধ্যে অন্তত ৬ জনের সম্মতি প্রয়োজন তার অপসারণের জন্য। আগামী ছয় মাসের মধ্যে আদালত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে।
তবে, পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে আদালতের পিপিপি সমর্থক ৫ বিচারকের পদত্যাগের কারণে। এর মধ্যে সুপ্রিম কাউন্সিল সদস্য কিম মিন-জিওন, ইন ইয়ো-হান এবং জ্যাং ডং-হাইওক পদত্যাগ করেছেন।
অভিশংসন প্রক্রিয়ার আগে ইউন সুক-ইওল প্রথম প্রচেষ্টায় সামান্য ভোটের ব্যবধানে রক্ষা পান। তবে বিরোধী দল গত সপ্তাহে আরও শক্ত অবস্থান নিয়ে অভিশংসন প্রস্তাব উত্থাপন করলে দ্বিতীয়বারের প্রচেষ্টায় সফল হয়।