সিরিয়ার শাসক বাশার আল-আসাদের পতনের পর লেবানন ও জর্ডানে আশ্রয় নেয়া সিরিয়ান শরণার্থীরা নিজ দেশে ফিরে যেতে শুরু করেছে। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) আসাদের পতনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জর্ডান ও লেবানন সীমান্ত দিয়ে তাদের দেশে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে এএফপির বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, লেবানন ও সিরিয়ার সীমান্তের মাসনা ক্রসিংয়ে গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। এসব যানবাহন থেকে আসাদবিরোধী স্লোগান দিতে দিতে মানুষ সিরিয়ায় প্রবেশ করছে।
জর্ডানের জাবের ক্রসিংয়ে এক সিরিয়ান শরণার্থী রয়টার্সকে জানান, তিনি ১২ বছর ধরে জর্ডানে ছিলেন। বাশার আল-আসাদের পতনের খবর শুনে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, “এখন আমরা নিরাপদে আমাদের মাতৃভূমিতে ফিরতে পারবো।”
অন্যদিকে, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক ছেড়ে বাশার আল-আসাদ তার পরিবারের সঙ্গে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় মানবিক বিবেচনায় তাদের রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা তাস ও রিয়া নভস্তির তথ্য অনুযায়ী, মস্কোয় পৌঁছেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ও তার পরিবারের সদস্যরা।
এর আগে, রবিবার বিদ্রোহীরা সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক দখলের ঘোষণা দেয়ার পর প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশত্যাগ করেন। তিনি প্রেসিডেন্টের বাসভবন ছেড়ে দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানে করে পালিয়ে যান।
উল্লেখ্য, বাশার আল-আসাদ ২০০০ সালে তার বাবা হাফেজ আল-আসাদের মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আসেন। তার বাবা প্রায় ২৯ বছর ধরে সিরিয়া শাসন করেছেন। বাশার আল-আসাদের শাসনামলও ছিল দমনপীড়ন ও ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার এক ধারাবাহিকতা।