মিলিটারি অপারেশন্সের পরিচালক কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান জানিয়েছেন, সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী মোতায়েনকৃত সেনাবাহিনী মাঠে রয়েছে এবং সরকার যখন চাইবে তখনই তারা ফিরে যাবে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার নীতির আওতায় মোতায়েনকৃত সেনাবাহিনীর কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে ২০ জুলাই রাতে আওয়ামী লীগ সরকার কারফিউ জারি করলে, সেনাবাহিনী ক্যান্টনমেন্টের বাইরে আসে। এরপর ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পরেও দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী ভূমিকা পালন করছে। পুলিশের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম চালু না হওয়ায় ১৭ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেনাবাহিনীকে ৬০ দিনের জন্য ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদান করে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, থানায় রেকর্ডকৃত বিভিন্ন অভিযোগ ও মামলা পর্যালোচনা করে সেনাবাহিনী জানায় যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়নি। এই সময়ের মধ্যে অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধার এবং চিহ্নিত অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
শিল্পাঞ্চল ও বিভিন্ন সড়কে বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলা ছাড়াও সাম্প্রতিক তিন মাসে বন্যা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনী মোতায়েনকালে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের বিষয়ে জানতে চাইলে কর্নেল ইন্তেখাব বলেন, সেনাবাহিনী মানবাধিকার রক্ষায় অত্যন্ত সচেতন। মানবাধিকার লঙ্ঘন বা বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা যেন না ঘটে, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ নজর রাখা হয়েছে। আমাদের নেতৃবৃন্দের কড়া নির্দেশ রয়েছে যে, বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা যেন কোনোভাবেই সংঘটিত না হয়।
তিনি আরও জানান, সেনাবাহিনী মাঠে নামার পর থেকে ৬ হাজারেরও বেশি অবৈধ অস্ত্র, প্রায় ২ লাখ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার এবং আড়াই হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।