আজ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) ৮৯তম জন্মবার্ষিকী। তিনি ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীর বাগবাড়ি এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে তার ডাকনাম ছিল ‘কমল’। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। তার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একদিনের বিশেষ কর্মসূচি পালন করছে দলটি।
প্রথম প্রহরে (রাত ১২টা) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দল কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে। সকাল সাড়ে ৯টায় বিএনপি নেতারা শেরে বাংলা নগরে শহীদ জিয়ার সমাধিতে গিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন।
বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান বাগবাড়িতে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এছাড়া, আগামীকাল ২০ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মৌলভীবাজার সদর থানার একাটুনা ইউনিয়নে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে। পাশাপাশি, দেশের সব জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, শীতবস্ত্র বিতরণ এবং দরিদ্রদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।
এ উপলক্ষে গণমাধ্যমে দেওয়া এক বাণীতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ দর্শনের পথিকৃৎ শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের জন্মবার্ষিকীতে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাঙালিদের ওপর হামলা চালানোর পর জিয়াউর রহমান সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তিনি ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তার অসাধারণ নেতৃত্ব তখন থেকেই জাতি উপলব্ধি করতে পেরেছিল।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘একজন সৈনিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও দেশের সংকটময় মুহূর্তগুলোতে জিয়াউর রহমান ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। ক্ষমতায় এসে তিনি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন। বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন এবং দেশের স্বনির্ভরতার জন্য কৃষি ও শিল্প বিপ্লবসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম হাতে নেন। তার উদ্যোগে ১৪০০ খাল পুনঃখনন ও সেচ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করা হয়।’
ফখরুল আরও বলেন, ‘স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে তিনি দেশের মর্যাদা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। তার এই অর্জনই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের বাধা হয়ে দাঁড়ায়, ফলে তারা জিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তবে তার আত্মত্যাগ জনগণের মধ্যে দেশবিরোধী চক্রান্তের বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ে তুলেছে।’