বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনামূলক যুক্তরাজ্যের একদল এমপির তৈরি প্রতিবেদনটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে এটি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পক্ষ নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথবিষয়ক অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এএপিজি) গত নভেম্বর মাসে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করা হয়, যদিও এতে উল্লেখিত অনেক তথ্য সঠিক নয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
যুক্তরাজ্য সরকারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হাউস অব কমন্সের এক এমপির অভিযোগের পর প্রতিবেদনটি বিতরণ বন্ধ করা হয়েছে এবং তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রতিবেদনটি এখন অভ্যন্তরীণ নথি হিসেবে পর্যালোচনার অধীনে রয়েছে।
বাংলাদেশে গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের তিন মাস পর, গত নভেম্বরে ‘বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতি’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশ পায়। ওই আন্দোলন দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দমন-পীড়নের কারণে আনুমানিক এক হাজার মানুষের মৃত্যুর তথ্য প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনটিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে। এতে বলা হয়, তিনি সরকারের বিরুদ্ধে আইনকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন এবং উগ্রপন্থী ইসলামিস্টদের পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছেন।
এএপিজির চেয়ার অ্যান্ড্রু রোসিনডেল এক বিবৃতিতে লিখেছেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এমন হওয়া উচিত যেখানে সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে। তবে পরিবর্তন না এলে নতুন সরকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আশা ক্ষীণ হবে।
প্রতিবেদনটি নয়াদিল্লিভিত্তিক চিন্তন প্রতিষ্ঠান রাইটস অ্যান্ড রিস্ক অ্যানালাইসিস গ্রুপ-এর তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এমপিদের তৈরি এই প্রতিবেদনটি মিথ্যা তথ্য ও পক্ষপাতদুষ্ট বলে সমালোচনা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর শেষে লেবার পার্টির এমপি রূপা হক এটি নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি প্রতিবেদনের তথ্যকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে কুচক্রী প্রচেষ্টা বলে উল্লেখ করেছেন।
রূপা হক বলেন, অধ্যাপক ইউনূস তার সঙ্গে এই প্রতিবেদন নিয়ে কথা বলেছেন এবং জানতে চেয়েছেন, কেন যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে।
লন্ডনের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের অধ্যাপক নাওমি হোসেন এই প্রতিবেদনের ত্রুটি ও পক্ষপাতিত্ব নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, এটি মৌলিক ত্রুটিপূর্ণ এবং জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে