আদানির সঙ্গে চুক্তি পুনর্মূল্যায়নে কমিটি গঠনের নির্দেশ

ছবি : হাইকোর্ট

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট। এ বিষয়ে চুক্তি পুনর্মূল্যায়নের জন্য উচ্চ পর্যায়ের অনুসন্ধান কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। চুক্তি পর্যবেক্ষণের জন্য এক মাসের মধ্যে কমিটি গঠন এবং আরও দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি চুক্তি পুনর্বিবেচনার জন্য রুল জারি করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আবদুল কাইয়ুম এই চুক্তি পর্যালোচনা বা বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করেন। ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর কার্যকর হওয়া আদানি (ঝাড়খণ্ড) লিমিটেডের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তিনি এই রিটটি করেন।

এর আগে, গত ৬ নভেম্বর ব্যারিস্টার কাইয়ুম আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা একতরফা বিদ্যুৎ চুক্তি পর্যালোচনা বা বাতিলের জন্য পিডিবি চেয়ারম্যান ও জ্বালানি সচিবকে আইনি নোটিশ প্রদান করেন।

রিট পিটিশনে উল্লেখ করা হয়, চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ নিম্নমানের কয়লার মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুতের জন্য অন্যান্য কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্রের তুলনায় বেশি মূল্য পরিশোধ করবে। আদানি গ্রুপের মালিকানাধীন অস্ট্রেলিয়ার একটি খনি থেকে কয়লা ভারতে সরবরাহ করা হবে এবং সেই কয়লা বাংলাদেশের অর্থায়নে নির্মিত গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত হবে।

আলজাজিরার এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে রিটে আরও বলা হয়, বিপিডিবি এমন একটি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি করেছে, যেখানে অস্ট্রেলিয়া থেকে কয়লা আমদানির পুরো খরচ বাংলাদেশকে বহন করতে হবে। রিট আবেদনকারীর দাবি, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমন্বয় ছাড়া এমন একতরফা চুক্তি হওয়া অসম্ভব।