মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন যে, সৌদি আরব ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি চুক্তির জন্য ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে শর্ত হিসেবে রাখেনি। তবে এই দাবি সরাসরি নাকচ করেছে রিয়াদ। সৌদি কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কোনো সম্ভাবনা নেই।
মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর যৌথ সংবাদ সম্মেলনের পর সৌদি আরব তার অবস্থান পুনরায় তুলে ধরে। সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র গাজা দখল করে সেখানে পুনর্গঠন করতে চায় এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতিবেশী দেশগুলোতে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা রয়েছে। পরে ওই অঞ্চল বিশ্ববাসীর জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এরপর সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের আগের সীমান্তের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে রিয়াদের অবস্থান অপরিবর্তনীয়।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান গত সেপ্টেম্বরে দেওয়া এক ভাষণে বলেছিলেন যে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার শর্ত পূরণ না হলে রিয়াদ ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবে না।
যদিও ট্রাম্পের নাম বিবৃতিতে সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি, তবে তাতে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে যে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগেই ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক না করার বিষয়টি আগের মার্কিন প্রশাসনসহ বর্তমান প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, সৌদি আরব প্রকাশ্যে কঠোর অবস্থান নিলেও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান গোপনে নমনীয় মনোভাব পোষণ করতে পারেন। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, সৌদি আরব মূলত ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের একটি ‘মূল নকশা’ দেখতে চায় এবং এরপর ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে অগ্রসর হতে পারে।
তবে গাজা যুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিলিস্তিন ইস্যু আরও গুরুত্ব পাওয়ায়, সৌদি আরব এখন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার একটি নিশ্চিত ও স্থায়ী রূপরেখা চায় বলে বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন।