মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় এবং সেখানে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের সরে যেতে হবে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ প্রস্তাব দেন।
সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকার দায়িত্ব নেবে এবং সেখানে আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, গাজায় থাকা সব অবিস্ফোরিত বোমা ও অস্ত্র নিষ্ক্রিয় করা হবে, অঞ্চলটি পুনর্গঠনের জন্য সমতল করা হবে এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনগুলো সরিয়ে ফেলা হবে।
গাজার নিরাপত্তার জন্য মার্কিন সেনা পাঠানো হতে পারে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প তা উড়িয়ে দেননি। তিনি বলেন, “গাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে প্রয়োজন হলে আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ নেব, এমনকি সেনা পাঠানোর সম্ভাবনাও উন্মুক্ত রয়েছে।”
এর আগে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতির আলোচনা নিয়ে নেতানিয়াহু ওয়াশিংটনে পৌঁছান। যুদ্ধবিরতির পর গাজা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে দাবি করে ট্রাম্প বলেন, ফিলিস্তিনিদের উচিত গাজা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়া।
হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “গাজাকে দীর্ঘমেয়াদে নিয়ন্ত্রণে রাখলে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এটি হালকাভাবে নেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত নয়। যাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রের গাজা নিয়ন্ত্রণের ধারণাকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। এতে এই অঞ্চলে উন্নয়ন হবে এবং প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।”
তবে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিরোধিতা করতে পারেন অনেকেই, যদিও তিনি দাবি করেছেন যে অনেকে এতে সমর্থন দিয়েছেন।
এরই মধ্যে মিশর ও জর্ডান এই পরিকল্পনার আওতায় নতুন করে ফিলিস্তিনি শরণার্থী গ্রহণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ওভাল অফিসে ট্রাম্প বলেন, “আমি মনে করি না ফিলিস্তিনিদের গাজায় ফিরে যাওয়া উচিত। এটি তাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক একটি স্থান, যেখানে তারা নরকের মতো জীবনযাপন করে। গাজা মানুষের বসবাসের উপযুক্ত নয়। তারা কেবল বিকল্পের অভাবে সেখানে ফিরে যেতে চায়।”
পরবর্তীতে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিরা গাজায় ফিরে যেতে পারে, তবে এটিকে তাদের স্থায়ী আবাসভূমি হিসেবে ভাবছেন না।
সূত্র: সিএনএন