শিরোনাম

ভারতে প্রশ্নফাঁস নিয়ে ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ মাস আগে
ছবি : সংগৃহীত

ভারতের বিহার রাজ্যে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় পরীক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জন সুরাজ পার্টির নেতা প্রশান্ত কিশোরসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের আয়োজিত ৭০টি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তুলে পরীক্ষার্থীরা পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার দাবি করেন। কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী পাটনার গান্ধী ময়দানে একত্রিত হন। তারা মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর পরীক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে তাদের সঙ্গে ময়দানে উপস্থিত হন।

পরীক্ষার্থীরা মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে এগোতে গেলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও জলকামান ব্যবহার করে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ মাটিতে ফেলে পরীক্ষার্থীদের মারধর করছে।

পরবর্তীতে পুলিশ প্রশান্ত কিশোর, কয়েকটি কোচিং সেন্টারের মালিকসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে বেআইনি জমায়েত, উসকানি ও আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে মামলা করে।

এ ঘটনায় বামপন্থী ছাত্র সংগঠন আইসা বিহারে ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচি ঘোষণা করে। অন্যদিকে, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব পরীক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের নির্যাতনের কঠোর সমালোচনা করেছেন।

বিহারে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা কোনো নতুন বিষয় নয়। ২০২৩ সালে কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এছাড়া ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে।

দেশব্যাপী গত সাত বছরে ১৫টি রাজ্যে ৭০টিরও বেশি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। এতে এক কোটি ৭০ লাখ পরীক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এর মধ্যে বিহারসহ রাজস্থান, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্র উল্লেখযোগ্য।

২০২৪ সালে ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্টের (NEET) প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনাটি সবচেয়ে বড় আকার ধারণ করে। সিবিআইয়ের তদন্তে জানা যায়, বিহার থেকেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের সূত্রপাত হয়।

প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে শাস্তির মাত্রা বাড়ানো হলেও এর প্রকোপ কমানো সম্ভব হয়নি। বিহারের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো আবারও প্রমাণ করে, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে আরও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।