শিরোনাম

আমরা পুরোপুরি অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে রয়েছি: সেনাপ্রধান

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ মাস আগে
ফাইল ছবি

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানিয়েছেন, দেশের স্বার্থে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সহযোগিতায় যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে সেনাবাহিনী প্রস্তুত। এক পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন, নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রবর্তন, সংবিধান সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিজের মতামত তুলে ধরেন।

জেনারেল ওয়াকার বলেন, “আমরা সরকারের পাশে রয়েছি। প্রধান উপদেষ্টা যে কোনো সহযোগিতা চাইলে আমরা তা প্রদানে প্রস্তুত। এমনকি এতে সেনাসদস্যদের সাময়িক অসুবিধা হলেও, দেশ ও জাতির স্বার্থে আমরা এ সহযোগিতা অব্যাহত রাখব।”

তিনি আরও বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের প্রয়োজন মিটলে এবং তারা যখন আমাদের জানাবে যে, আমাদের দায়িত্ব শেষ হয়েছে, আমরা সানন্দে সেনানিবাসে ফিরে যাব।”

গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে সেনাপ্রধান বলেন, “আমাদের রাজনীতিবিদদের মাঝে সহযোগিতার মানসিকতা রয়েছে। একসঙ্গে বসলে তারা সংকট সমাধানে এগিয়ে আসেন। সমঝোতার মাধ্যমে বর্তমান পরিস্থিতির সমাধান সম্ভব। এটি একটি সংস্কৃতির বিষয়, এবং আমি এ বিষয়ে আশাবাদী।”

রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “রাজনীতিবিদের বিকল্প শুধুই রাজনীতিবিদ। সেনাবাহিনী কখনোই তাদের বিকল্প হতে পারে না।”

দীর্ঘদিন সেনাসদস্যদের মাঠে থাকার ঝুঁকির প্রসঙ্গে তিনি জানান, “১/১১-এর অভিজ্ঞতা সুখকর ছিল না। দীর্ঘদিন মাঠে থাকার ফলে সেনাসদস্যদের উচ্ছৃঙ্খল কাজে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বাড়ে। যদিও সংখ্যায় তা খুব কম, এটি আমাদের জন্য বিব্রতকর।”

সংবিধান সংস্কারের প্রসঙ্গে তিনি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্যের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন। তার মতে, সশস্ত্র বাহিনীকে রাষ্ট্রপতির অধীনে রাখার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে তিনি জানান, “আমি সংবিধান বিশেষজ্ঞ নই। এটি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত। তবে ক্ষমতার ভারসাম্য আনলে শাসনব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা আসবে।”

সাক্ষাৎকারে তিনি এ বিষয়টি পরিষ্কার করেন যে, সেনাবাহিনীর ভূমিকা দেশ ও জাতির কল্যাণে নিবেদিত এবং রাজনীতি থেকে দূরে থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করাই তাদের মূল লক্ষ্য।