শিরোনাম

কলড্রপ নিয়ে মোবাইল অপারেটরদের কঠোর নির্দেশ প্রতিমন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৮ মাস আগে

মোবাইল অপারেটরদের উদ্দেশ্যে কঠোর নির্দেশনা প্রতিমন্ত্রীর: কলড্রপ সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ

মোবাইলে কথা বলার সময় কলড্রপ হলে আগামীকাল থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি সতর্ক করেছেন, কলড্রপের জন্য কোনো মোবাইল অপারেটরকে ছাড় দেওয়া হবে না।

রোববার (৩০ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) আয়োজিত মোবাইল অপারেটরদের সাথে এক সভায় প্রতিমন্ত্রী এ হুঁশিয়ারি দেন। সভায় বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদসহ মোবাইল ফোন অপারেটরদের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পলক বলেন, মোবাইল ফোন এখন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে, কিন্তু অনেক গ্রাহক তাদের সেবার মান নিয়ে অসন্তুষ্ট। আজকের সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান নিশ্চিত করা, তারা যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে সেই সেবা গ্রাহকরা পাচ্ছে কিনা এবং সুলভ মূল্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট সরবরাহের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা।

পলক আরও বলেন, কলড্রপ একটি নিয়মিত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মোবাইল গ্রাহকরা যেমন এ বিষয় নিয়ে অসন্তুষ্ট, তেমনি বিটিআরসি’র পরীক্ষাগুলোতেও সেবার মান খুব একটা সন্তোষজনক নয়। আগামী ছয় মাসের মধ্যে কলড্রপ সমস্যার সমাধানে মোবাইল অপারেটরগুলোর কাছ থেকে যে তথ্য আসুক না কেন, গ্রাহক এবং সাংবাদিকদের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া না পাওয়া পর্যন্ত শুধুমাত্র কাগজে-কলমে বা ডিজিটাল উপস্থাপনায় সন্তুষ্ট হওয়া যাবে না।

পলক বলেন, কলড্রপের জন্য গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণে কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে। গ্রাহকদের সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার চেষ্টা করা হবে যাতে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরগুলো সেবার মান উন্নত করতে বাধ্য হয়।

কলড্রপ নিয়ে ঢাকার কয়েকটি এলাকার ড্রাইভ টেস্টের ফলাফল পর্যালোচনা করে পলক বলেন, আমরা ১ জুলাই থেকে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করব। শহর বা গ্রাম যেখানেই হোক, মিডিয়ার রিপোর্টগুলো আমলে নিয়ে সেখানে ড্রাইভ টেস্ট করা হবে।

অপারেটরদের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, আমরা অপারেটরদের হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে সাঁতার শেখাব না; বরং তাদের সাঁতার শিখিয়ে সক্ষমতা বাড়িয়ে দেব, যাতে তারা নদী পার হতে পারে।

অপারেটরদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক টাওয়ার স্থাপনে সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন পলক। পাশাপাশি খরচ কমাতে হাইটেক পার্কে বিনিয়োগ ও স্থাপনা নির্মাণের জন্য সরকার প্রদত্ত সুবিধা নেওয়ার পরামর্শও দেন তিনি।