ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ ছয় হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় প্রদান করেন। আদালত একই সঙ্গে মেধার ভিত্তিতে পুনরায় নিয়োগ প্রদানের নির্দেশনা দিয়েছেন।
এর আগে, গত ১৯ নভেম্বর, হাইকোর্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ছয় হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র প্রদান স্থগিত করেন। কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, যার কারণে আদালত এই স্থগিতাদেশ দেন এবং রুল জারি করেন।
তথ্য অনুযায়ী, ৩১ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়, যেখানে ৬ হাজার ৫৩১ জন উত্তীর্ণ হন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এই ফল প্রকাশিত হয়।
এছাড়া, গত ২৮ মে, হাইকোর্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) নিয়োগ প্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন। পরে, আপিল বিভাগ ওই স্থগিতাদেশ খারিজ করে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের অনুমতি দেয়। তবে, প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে গণমাধ্যমে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে অনুসন্ধান চালানোর নির্দেশনা দেন আদালত।