শিরোনাম

আল-আকসা মসজিদ রক্ষায় রমজানে ফিলিস্তিনিদের ঐক্যের ডাক দিল হামাস

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ সপ্তাহ আগে
ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনিদের প্রতি পবিত্র রমজান মাসে দখলকৃত জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে ইবাদত, দৃঢ় অবস্থান ও ইতেকাফে অংশ নেয়ার জন্য হামাস আহ্বান জানিয়েছে।

সংগঠনটি বলছে, এটি শুধু ধর্মীয় আনুগত্যের প্রতীক নয়, বরং দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধেরও অংশ। একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।

এক বিবৃতিতে হামাস পশ্চিম তীর, জেরুজালেম এবং ইসরাইলে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ‘এই মাসে আল-আকসা মসজিদে গিয়ে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালান, সেখানে দৃঢ় অবস্থান নিন এবং ইতেকাফ করুন।’

হামাস আরও বলেছে, ‘রমজানের পবিত্র দিন ও রাতগুলো ইবাদত, দৃঢ় অবস্থান এবং শত্রু ও বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধে উৎসর্গ করুন, পাশাপাশি জেরুজালেম ও আল-আকসার প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করুন যতক্ষণ না তা দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত হয়।’

বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিনিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হামাস বলেছে, তারা যেন ‘গাজা, পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমের জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে।’

শুক্রবার সন্ধ্যায় আল-আকসা মসজিদের খতিব শেখ ইকরিমা সাবরি বলেছেন, ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার অজুহাতে জেরুজালেমে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে তার দাবি, এর প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো ফিলিস্তিনিদের আল-আকসায় প্রবেশ সীমিত করা।

প্রতি বছর রমজান মাসে ইসরাইল এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, যা দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে।

ফিলিস্তিনিরা বিশ্বাস করেন, এই বিধিনিষেধ পূর্ব জেরুজালেমসহ আল-আকসা মসজিদকে ইহুদিকরণের অংশ এবং এর আরব ও ইসলামি পরিচয় মুছে ফেলার বৃহত্তর ইসরাইলি নীতির প্রতিফলন।

আল-আকসা মসজিদ ইসলাম ধর্মের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। অন্যদিকে, ইহুদিরা এই স্থানকে ‘টেম্পল মাউন্ট’ বলে অভিহিত করে এবং দাবি করে, সেখানে প্রাচীনকালে দুটি ইহুদি মন্দির ছিল।

“ইসরাইল ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের সময় পূর্ব জেরুজালেম দখল করে এবং ১৯৮০ সালে পুরো শহরটি সংযুক্ত করার ঘোষণা দেয়, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কখনো স্বীকৃতি দেয়নি।”

গত বছরের জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের দীর্ঘদিনের দখলদারিত্বকে অবৈধ ঘোষণা করে এবং পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে সব বসতি সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়।