সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণ অব্যাহতি নিচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করেছেন এবং এখন আর দলের কোনো পদে নেই। তার মতে, ৭৬ বছর বয়সে রাজনীতি করা সম্ভব নয়, তাই তিনি নতুন নেতৃত্বের জন্য সুযোগ তৈরি করতে চান।
সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে তিনি এসব কথা বলেন।
সেদিন তাকে ছয়জনের সঙ্গে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। সকাল ১০টার দিকে পুলিশ পাহারায় তাদের হাজতখানা থেকে আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। ১০টা ৭ মিনিটে বিচারক এজলাসে আসেন এবং কাফরুল থানার মামলায় গ্রেফতার দেখানোর শুনানি শুরু হয়।
শুনানির একপর্যায়ে কামাল আহমেদ মজুমদার কথা বলার অনুমতি চান। বিচারক তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করার পর তিনি তার বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, “আমার বয়স ৭৬ বছর, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা রয়েছে এবং ৭০ শতাংশ চোখের জ্যোতি হারিয়েছি। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকব না। আজ থেকে দল ছাড়ার ঘোষণা দিলাম এবং সাধারণ সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করলাম।”
তিনি অভিযোগ করেন, “কারাগারে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করার জন্য কোনো ডিজিটাল যন্ত্র বা প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি কোরআন শরিফ পড়ার সুযোগও দেওয়া হয়নি। একের পর এক মামলা ও নির্যাতনের মুখোমুখি হচ্ছি। এই বয়সে এসে অন্যায়ভাবে আমার ওপর জুলুম চলছে। আল্লাহর ওপর ভরসা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় নেই। আমি অনুরোধ করছি, ডায়াবেটিসের ওষুধ, পরীক্ষা করার ডিজিটাল যন্ত্র এবং কোরআন শরিফ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হোক।”
বিচারক তার বক্তব্য শোনার পর বলেন, এসব দাবি আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এরপর বিচারক তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ অক্টোবর রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে কামাল আহমেদ মজুমদারকে গ্রেফতার করা হয়। পরে একাধিক মামলায় তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।