দেশের মোট ভোটার এখন ১২ কোটি ৩৭ লাখ

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি), যেখানে ২০২৪ সালে নতুন যুক্ত হওয়া ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, দেশে মোট ভোটার সংখ্যা এখন ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন।

রোববার (২ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে জাতীয় ভোটার দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানান সিইসি। এ বছরের ভোটার দিবসের মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে—‘তোমার আমার বাংলাদেশে, ভোট দিব মিলেমিশে’। দিবসটি উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ইসির মাঠপর্যায়ের অফিসগুলো নানা কর্মসূচি পালন করবে।

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, প্রতিবছর ২ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবস পালন করা হয়, সেই নিয়ম অনুযায়ী এবারও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে, চলতি বছরের ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল।

শনিবার ইসি এক ঘোষণায় জানায়, রোববার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে জাতীয় ভোটার দিবসের কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। এ সময় অন্য চার নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিবসহ সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত থাকবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সকাল সাড়ে ৯টায় শোভাযাত্রা বের করা হবে এবং পরে বেলা ১১টায় নির্বাচন ভবনের বেজমেন্টে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া, নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখা জানিয়েছে, জুলাই মাসে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানে আহত কিছু ভোটারকে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে।

২ জানুয়ারি প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকা অনুসারে, নতুন ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২ জন ভোটার যুক্ত হন, যার ফলে দেশের মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়ায় ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৩০ হাজার ১০৩ জন, নারী ভোটার ৬ কোটি ৩ লাখ ৫২ হাজার ৪১৫ জন এবং হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৯৯৪ জন।

ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খসড়া তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি পর্যালোচনা শেষে নতুন ভোটারের সংখ্যা ২০ লাখের বেশি বাড়তে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।

এছাড়া, চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি থেকে ইসি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করেছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৫১ লাখ নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে জন্মগ্রহণ করেও যারা এখনো ভোটার হননি, তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি মৃত ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী জুনের মধ্যে হালনাগাদ ভোটার তালিকার কাজ শেষ করা হবে এবং ডিসেম্বরের নির্ধারিত ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে এ কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।