শিরোনাম

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত 

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৩ সপ্তাহ আগে
ছবি : সংগৃহীত

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, যা নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।

রোববার (৩ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সল হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ:

১. চিহ্নিত অপরাধী, সন্ত্রাসী, মাদক ও চোরাচালানকারীদের ধরতে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে।

  1. পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দক্ষতা বৃদ্ধিতে ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও আইনের প্রয়োগ’ শীর্ষক কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও পাবলিক প্রসিকিউটররা অংশ নিয়েছেন।

৩. পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট প্রধান, উপপুলিশ কমিশনার ও সেনাবাহিনীর মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে গণমাধ্যমে নিয়মিত ব্রিফিং দিচ্ছেন।

৪. রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট এবং অপরাধপ্রবণ এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে। যৌথবাহিনীর সহযোগিতায় টার্গেটকৃত এলাকায় অভিযান চলছে।

৫. ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে নিয়মিত টহলের পাশাপাশি নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের অতিরিক্ত প্যাট্রোল পরিচালিত হচ্ছে।

৬. ছিনতাইকারী, ডাকাত, কিশোর গ্যাংসহ অন্যান্য অপরাধীদের গ্রেপ্তারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

৭. থানাভিত্তিক সন্ত্রাসীদের তালিকা হালনাগাদ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

৮. টঙ্গী, বসিলা, কেরানীগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জসহ ঢাকার আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

৯. পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও কোস্টগার্ডের সদস্যদের জন্য মোটরসাইকেল কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে দ্রুত টহল দিয়ে অপরাধীদের আটক করা যায়।

১০. গুজব ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচারের বিরুদ্ধে যথাযথ তথ্য প্রচারের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

১১. স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার নিয়মিত চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম পরিদর্শন করছেন।

১২. স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দেশের প্রতিটি প্রশাসনিক বিভাগে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক করে বাহিনীকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।

১৩. ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।

১৪. প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করতে জেলা ও মেট্রোপলিটন পর্যায়ে মামলা মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে, যাতে নিরপরাধ ব্যক্তিরা হয়রানি থেকে রেহাই পান।

১৫. জুলাই বিপ্লবের শহিদ পরিবারের মামলাগুলো গুরুত্বসহকারে মনিটরিং করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

১৬. প্রতিটি আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত ঘটনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।