শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন বরণ ও ইফতারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ ২০২৫) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে নবীন বরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কৃষি বিজ্ঞানী এবং কৃষিবিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আলী আফজাল।

অনুষ্ঠানের অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আলী আফজাল বলেন, “সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের মেধা, দক্ষতা ও দেশপ্রেমের সমন্বয় ঘটাতে হবে। তরুণ প্রজন্মই পারে এই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্রনেতারা। পরে ইফতার মাহফিলে সবাই একসাথে মিলিত হন এবং দেশের শান্তি ও উন্নতির জন্য দোয়া করা হয়।

অনুষ্ঠানটি ছিল সার্বিকভাবে উৎসবমুখর। নবীন শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস, বড়দের স্নেহপূর্ণ দিকনির্দেশনা এবং ইফতারের পরিমণ্ডলে এক অনন্য মিলনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে পরিপূর্ণ ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে ছাত্রনেতারা তাদের বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দীপিত করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

প্রধান অতিথি বিশিষ্ট কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল তার বক্তব্যে কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সমৃদ্ধি নির্ভর করে আমাদের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ওপর। নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ও গবেষণার মাধ্যমে অবদান রাখতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “কৃষিবিদ গ্রুপ দেশের কৃষি উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে। আপনারাও এই যাত্রায় আমাদের সঙ্গী হতে পারেন।”

কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল তার বক্তব্যে তরুণদের উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, “কেবল চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেদের দক্ষতা ও মেধা কাজে লাগিয়ে নতুন উদ্যোগ নিতে হবে। তবেই আমরা একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে পারব।”

অনুষ্ঠানের শেষে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়, যেখানে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় মোনাজাত করা হয়। ইফতারের সময় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অতিথিরা একত্রে বসে ইফতার করেন। সবার মধ্যে ছিল আন্তরিকতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

অনুষ্ঠান শেষে নবীন শিক্ষার্থীরা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, “এমন একটি চমৎকার আয়োজনে অংশ নিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। প্রধান অতিথির বক্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে।”