শিরোনাম

এবার ইরানে কার্যকর করা হচ্ছে এক ইহুদির মৃত্যুদণ্ড!

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৬ মাস আগে
এবার ইরানে কার্যকর করা হচ্ছে এক ইহুদির মৃত্যুদণ্ড

ইরানে দুই বছর আগে মারামারি করে এক ব্যক্তিকে হত্যা করেন এক ইহুদি যুবক। সেই দায়ে এবার ইরানে ওই ইহুদি যুবকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। ইরানের মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের সময় আরভিন নাথানিয়াল গাহরামানি নামের এই যুবকের বয়স ছিল ১৮ বছর।

অসলোভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটস আইএইচআর জানিয়েছে, এই ইহুদি যুবকের বাড়ি দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের শহর কারমানশাহতে। গতকাল শনিবার ১৮ মে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের কথা ছিল। তবে তার পরিবারকে জানানো হয়েছে মৃত্যুদণ্ডটি আগামী সোমবার কার্যকর করা হবে।

এই যুবকের বিরুদ্ধে ‘ইচ্ছাকৃত হত্যা’ সংঘটিত করার অভিযোগ উঠে এবং পরবর্তীতে এটি প্রমাণিত হয়।

তবে ইরানের সরকার বিরোধী সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই ইহুদি যুবক ছুরি হামলার শিকার হয়েছিলেন। তখন তিনি নিজেকে বাঁচাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটান।

হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া ব্যক্তির পরিবার যদি তাকে ক্ষমা করে দেয়, শুধুমাত্র তাহলেই এই ইহুদি যুবক এখন বেঁচে যেতে পারেন। তবে এখন পর্যন্ত এই হত্যাকারীকে ক্ষমা করার ক্ষেত্রে অস্বীকৃতি জানিয়েছে হত্যার শিকার ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা।

এদিকে ফ্রান্সের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর রুয়েনে একটি সিনাগগ ইহুদিদের উপাসনালয়ে আগুন দেয়ায় এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে ফরাসি পুলিশ। শুক্রবার ১৭ মে এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমে এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সশস্ত্র সেই ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে ফরাসি পুলিশ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে পোস্ট করে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন বলেন, সিনাগগ থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখে স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে পুলিশকে ডাকা হয়েছিল। হামলাকারী একটি বড় বর্জ্য বিনে আরোহণ করে এবং একটি ছোট জানালা দিয়ে একটি পেট্রোল বোমা ছুড়ে দেয় সিনাগগের ভেতরে। ফলে দ্রুত আগুন লেগে যায় উপাসনালয়টিতে।

এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় শহরটির মেয়র নিকোলাস মায়ার-রসিগনোল বলেছেন, সিনাগগে হামলা শুধু ইহুদি সম্প্রদায়কে প্রভাবিত করেনি, বরং পুরো শহর “বিধ্বস্ত ও হতবাক” হয়েছে।

ঘটনাস্থলে দমকলকর্মীরা শেষ পর্যন্ত শহরের সিনাগগের ভিতরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। সেখানে সশস্ত্র লোক ছাড়া অন্য কেউ হতাহত হয়নি বলে জানান মেয়র।