ইউক্রেনের জন্য এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পাঠানো শুরু করেছে ন্যাটো

ইউক্রেনের জন্য এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পাঠানো শুরু করেছে ন্যাটো

ন্যাটো এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ইউক্রেনে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে এবং এটি গতকাল বুধবার ন্যাটোর ৭৫তম সম্মেলনে ঘোষণা করেছে। এই ঘোষণা সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে তিন দিনের এক সম্মেলনে ঘটছে। এই সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার সমর্থন প্রকাশ করবেন যে, যুক্তরাষ্ট্র পশ্চিমাঞ্চলী দেশগুলির প্রতি আদায়ে চেষ্টা করবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাম্প্রতিকভাবে রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কের মধ্যে দলের ভেতরে ও বাইরে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চাপ বিস্তারিত আছে। অনেকে তাঁর বয়সের প্রশ্ন উঠাচ্ছেন, এবং কিছু মানে বাইডেন এর আগের কিছু ক্ষমতা দেখাতে পারতেন বা না তা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠাচ্ছে। বিশেষত, তার ৮১ বছর বয়সী বয়সের চেয়েও ৬ বছর বড়।

বুধবার, ওয়াশিংটনের কনভেনশন সেন্টারে, ন্যাটোর সিদ্ধান্ত নেয়ার আনুষ্ঠানিক কর্তৃপক্ষ নর্থ আটলান্টিক কাউন্সিলে বাইডেন বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “ন্যাটোর সদস্য দেশগুলির প্রতি আমরা ইঞ্চির সুরক্ষা দেব এবং দিতে পারব। আমরা এটা করব এবং এটা করব একসঙ্গে।”
রাশিয়ার সামরিক উৎপাদনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলার জন্য তাঁরা নেতাদের আহ্বান জানিয়েছেন।

বাইডেন ঘোষণা করেছেন যে, ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডস ইউক্রেনের জন্য তৈরি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পাঠানোর শুরু করেছেন। এটি গত বছর ইউক্রেনকে ন্যাটো দেওয়ার প্রতিশ্রুতির অংশ বলে ধরা করা হচ্ছে।

এর আগে, বাইডেন ইউক্রেনের জন্য নতুন আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ঘোষণা করেছেন এবং তারা যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পেয়েছেন জার্মানির দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনের জন্য।

বুধবার সন্ধ্যায়, ন্যাটোর নেতাদের জন্য নৈশভোজ আয়োজন করেছেন বাইডেন, তবে মেঘলা আবহাওয়ার কারণে নির্ধারিত ফ্লাইপাস্ট বাতিল করা হয়েছে।
বাইডেন এ জোটকে তাঁর শৈশবের প্রতিবেশীর সঙ্গে তুলনা করেছেন এবং বলেছেন, “যখন একজন প্রতিবেশীর সহযোগিতার প্রয়োজন হয়, তখন সবাই মিলে এগিয়ে আসে। যখন দুর্বৃত্তরা জোটকে হুমকি দেয়, তখন আপনারাও পদক্ষেপ নেন।”