শিরোনাম

৩-৪ দিনের মধ্যে সব নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৪ মাস আগে
৩-৪ দিনের মধ্যে সব নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আগামী ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, “আমরা অপরাধীদের একে একে চিহ্নিত করব। বাধ্য হয়েই কারফিউ চালু করেছি। আমরা আশা করি যে এই জঙ্গি উত্থান ও সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।”

বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ের মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের’ পরিবারের আর্থিক সহায়তা প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, “ছাত্রদের কোটা আন্দোলন একটি সহিংস আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। আমাদের পুলিশ, বিজিবি, আনসারসহ সব বাহিনী ধৈর্যের সাথে এই আন্দোলন মোকাবিলা করেছে। এ আন্দোলনে আমরা বর্বরতা দেখেছি। আন্দোলনের নামে কারা পেছন থেকে মদদ দিয়েছে তা স্পষ্ট। এটি স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির কাজ। যারা বাংলাদেশকে অকার্যকর দেশ হিসেবে পরিণত করার জন্য ইন্ধন দিয়েছে, তারা ছাত্রদের বাদ দিয়ে নিজেদের সরাসরি সামনে এনেছে।”

তিনি আরও বলেন, “শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে যে দাবি করেছে, সেগুলোর সবই মেনে নেওয়া হয়েছে। আমরা দেখেছি পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশ সদস্যদের হত্যা করে ফাঁসি দিয়ে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। বাংলা ভাইয়ের জঙ্গি উত্থানের মতো জামায়াত-বিএনপিও একই ধরনের কর্মকাণ্ড করেছে। আমরা সবাই মিলে এটিকে প্রতিহত করব এবং এই গোষ্ঠীকে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে দেবো না।”

সহিংসতা ও নাশকতার সাথে জড়িতদের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে তাদের একে একে চিহ্নিত করব এবং আইনের মুখোমুখি করব। আমরা এক পা-ও সরে দাঁড়াবো না।”

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “আমরা বাধ্য হয়ে কারফিউ জারি করেছি এবং সেনাবাহিনীকে ডেকেছি, যারা সহযোগিতা করছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের উত্থান এবং বিএনপি-জামায়াতের চক্রান্ত ইতোমধ্যেই আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। আগামী দুই-চার দিনের মধ্যে আশা করি সব কিছু নিয়ন্ত্রণে আসবে, কারণ দেশের মানুষ এই পরিস্থিতি পছন্দ করছে না।”

কারফিউ শিথিল করার পর সামনে কী পরিকল্পনা আছে, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “কারফিউ আমরা রাখতে চাই না। থানা আক্রমণ করা হচ্ছে, পুলিশ হত্যা করা হচ্ছে, কেপিআইগুলো ধ্বংস করা হচ্ছে। পুলিশ, র‍্যাব, আনসার, বিজিবি দায়িত্ব পালন করতে গেলে তাদের হত্যা করা হচ্ছে। এজন্য আমরা বাধ্য হয়ে সন্ধ্যা আইন বা কারফিউ জারি করেছি।”

তিনি আরও বলেন, “সেনাবাহিনীর কাজ শেষ হলে এবং দেশের পরিবেশ স্বাভাবিক হলে, সেনাবাহিনী তাদের কর্মস্থলে ফিরে যাবে। কারফিউ প্রত্যাহার করা হবে এবং জনজীবন আবারও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য কাজ করছি।”

  • dailyusharbani
  • ঊষারবাণী
  •