শিরোনাম

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা নতুন প্রেসিডেন্টকে দায়িত্ব প্রদান করেছেন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৪ মাস আগে
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা নতুন প্রেসিডেন্টকে দায়িত্ব প্রদান করেছেন

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি দেশটির নতুন নির্বাচিত সংস্কারপন্থী প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব প্রদান করেছেন। চলতি মাসের শুরুতে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পেজেশকিয়ান বিজয়ী হন।

খামেনির কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “জ্ঞানী, সৎ, জনপ্রিয় এবং বিজ্ঞ পেজেশকিয়ানকে আমি সমর্থন করি এবং তাকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ করছি।” মঙ্গলবার পার্লামেন্টে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে কট্টরপন্থি সাঈদ জালিলিকে পরাজিত করে মাসুদ পেজেশকিয়ান ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি একজন স্বল্পপরিচিত মধ্যপন্থি রাজনীতিবিদ।

গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, পেজেশকিয়ানকে ভোট দেওয়ার মূলত শহুরে মধ্যবিত্ত এবং তরুণ জনগণ। সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার পর নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

অনেকে মনে করেন যে পেজেশকিয়ান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট রাইসির দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। দেশটির দ্বৈত শাসন ব্যবস্থার কারণে রাষ্ট্রীয় নীতি, পরমাণু কর্মসূচি বা পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ে পেজেশকিয়ান কতটা পরিবর্তন আনতে পারবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মাসুদ পেজেশকিয়ান একজন হৃদরোগ বিষয়ক সার্জন। তিনি ২০০৮ সাল থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তাবরিজ শহর থেকে ইরানের পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন এবং সংসদে ডেপুটি স্পিকার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

মাসুদ পেজেশকিয়ান ১৯৫৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ইরানের মাহাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে ৬৯ বছর বয়সী পেজেশকিয়ান ইরানের উত্তরাঞ্চলীয় তাবরিজ অঞ্চল থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এবং দেশের ১০ম জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্বেও ছিলেন।
১৯৮০ সালে ইরাক ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধের সময় পেজেশকিয়ানকে সম্মুখ সারির চিকিৎসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচনের আগে, তিনি ইরানের প্রধান সংস্কারপন্থি জোটের সমর্থন ছাড়াও সাবেক দুই সংস্কারপন্থি প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামি ও হাসান রুহানির সমর্থন অর্জন করেন।

মাসুদ পেজেশকিয়ান ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নিবন্ধন করলেও পরে তা প্রত্যাহার করে নেন। ১৯৯৪ সালে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি তার স্ত্রী ও একটি কন্যা সন্তানকে হারান। এরপর থেকে তিনি পুনরায় বিবাহ করেননি এবং বর্তমানে তার দুই ছেলে ও এক মেয়ের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন।

বর্তমান নির্বাচনে ছয় প্রার্থীর মধ্যে পেজেশকিয়ানকে উদারমনা ও সংস্কারপন্থি হিসেবে দেখা হচ্ছিল। তার নির্বাচনী এজেন্ডার মধ্যে ইরানের কঠোর হিজাব আইন সংস্কার এবং পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি উল্লেখযোগ্য। পেজেশকিয়ান মনে করেন, ইরানকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে হবে এবং ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির কিছু সংস্করণ পুনরায় চালু করার জন্য পশ্চিমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান।

  • dailyusharbani
  • ইরানের প্রেসিডেন্ট
  • ঊষারবাণী
  •