সরকার সম্প্রতি ডিম, সোনালি ও ব্রয়লার মুরগির দাম নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মূল্য নির্ধারণ করলেও, এর পরদিনই বাজারে দামের উল্টো বৃদ্ধি দেখা গেছে। রাজধানীর বাড্ডা-রামপুরা এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, ডিম ও মুরগির দাম পূর্বের তুলনায় ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে গেছে।
খুচরা বাজারের পরিস্থিতি
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ডিমের খুচরা দাম ডজনপ্রতি ১১ টাকা ৮৭ পয়সা হওয়ার কথা থাকলেও, বাজারে বর্তমানে বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায় এবং সাদা ডিম ১৬৫ টাকায়। অন্যদিকে, ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে হয়েছে ১৮০-১৮৫ টাকা কেজি, যা দুদিন আগেও ছিল ১৭০ টাকা।
ব্যবসায়ীদের প্রতিক্রিয়া
বিক্রেতারা জানান, বন্যার কারণে খামারগুলোর ক্ষতি, সরবরাহে সংকট এবং ভারত থেকে আমদানি করা ডিমের অপ্রতুলতার কারণে এই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও ভারতীয় ডিম বাজারে দেখা যায়নি বলে জানান তারা।
ক্রেতাদের অসন্তোষ
ব্যাংক কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহিমসহ ক্রেতাদের দাবি, সরকার দাম নির্ধারণ করলেও তা কার্যকর হয়নি। বরং বাজারে দাম আরও বেড়েছে। ক্রেতারা মনে করছেন, সরকার পরিবর্তনের পরও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত রয়েছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য কষ্টকর হয়ে উঠেছে।
সরকারের নির্ধারিত মূল্য
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নির্দেশনায় ডিমের উৎপাদনমূল্য ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি মূল্য ১১ টাকা ০১ পয়সা এবং খুচরা মূল্য ১১ টাকা ৮৭ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সোনালি মুরগির খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা এবং ব্রয়লার মুরগির ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা।
তবে বাজারের বর্তমান চিত্রে এই মূল্য কার্যকর হয়নি, যার ফলে ভোক্তা ও বিক্রেতা উভয়েই ক্ষুব্ধ।