ক্রিকেট বিশ্বের নজর এখন যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দিকে। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটের এই টুর্নামেন্টে এবারই প্রথম ২০টি দল অংশ নিচ্ছে। আর এবারই প্রথম যৌথভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করছে যুক্তরাষ্ট্র। আর টুর্নামেন্টের শুরুতেই প্রশ্ন উঠেছে বিশ্বকাপের অন্যতম ভেন্যু যুক্তরাষ্ট্রের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামের পিচ নিয়ে। বোলাররা সেখানে যেভাবে দাপট দেখাচ্ছেন, তাতে পিচের চরিত্র নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। আর আগামি ১০ তারিখে এ মাঠেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ।
মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে গড়ে তোলা হয় নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম। তবে মাত্র দুই ম্যাচ পরই সমালোচনার শিকার হয়েছে স্টেডিয়ামটি। কারণ, আইসিসির ইভেন্ট গুলোতে যেমন পিচ হওয়া কথা, ঠিক তার উল্টোটা ঘটছে ড্রপ-ইন পিচ বসানো মাঠটিতে।
বিশ্বকাপে ভারত-বাংলাদেশ প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়েই স্টেডিয়ামটি উদ্বোধন করা হয়েছিল। সেই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে রোহিতরা ভালো ব্যাটিং করলেও, পিচে দাঁড়াতে পারেননি শান্ত-লিটনরা।
এরপর একই মাঠে বিশ্বকাপের মূল ম্যাচে খেলতে নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের বিরুদ্ধে এদিন দাঁড়াতেই পারেননি শ্রীলঙ্কার ব্যাটারেরা। মাত্র ৭৭ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা। সেই রান তাড়া করতে নেমে সমস্যায় পড়েন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারেরাও। ৭৮ রান করতে ১৬.২ ওভার লাগে তাদের।
এদিন ম্যাচ শেষে পিচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। তিনি বলেন, “খুব কঠিন পিচ। এই পিচে রান তুলতে খুব খাটতে হচ্ছে। ব্যাটারেরা এই পিচে মোটেই আনন্দে থাকবে না। কারণ, কোনও বল লাফাচ্ছে, কোনও বল বসছে। সারা ক্ষণ বল সুইং করছে। তাতে খেলতে সমস্যা হচ্ছে।”
এদিকে, সাবেক প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি এটিকে ‘স্পাইসি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ভারতীয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে টুইটারে লিখেন, ‘একটি নতুন দেশে ক্রিকেটকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার এটাই সেরা পন্থা কি না আমি নিশ্চিত নই।’
মূলত ড্রপইন পিচ হওয়ার কারণেই পিচের চরিত্র এই রকম দেখাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে পিচ তৈরি করে তার পর তা নিউ ইয়র্কে এনে বসানো হয়েছে। সাধারত ড্রপইন পিচ ঠিকমতো বসতে অন্তত এক বছর সময় লাগে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তিন মাসের মধ্যে খেলা হচ্ছে। পিচ এখনও পুরোপুরি বসেনি। সেই কারণেই এমন অদ্ভুত ঘটনা দেখা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে তৈরি স্টেডিয়ামটিতে ড্রপ-ইন পিচ বসানোর কাজটি করা হয়েছিল অ্যাডিলেড ওভালের প্রখ্যাত মাঠকর্মী ড্যামিয়েন হফের তত্ত্বাবধানে।
আগামী ৯ জুন এ মাঠেই মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। ঠিক পরের দিনই একই ভেন্যুতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ।