শিরোনাম

তেঁতুলিয়ায় ঘন কুয়াশা, আগাম শীতের আভাস

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ মাস আগে

দেশের সর্ব উত্তরের পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় ভোরবেলায় কুয়াশা ও শিশিরের উপস্থিতি শীতের আভাস দিলেও এখন শরৎকাল (আশ্বিন মাস) চলছে। ঘন কুয়াশা এই অঞ্চলে শীতের আগমনের সংকেত দিচ্ছে।

শিশিরের ফোঁটা সবুজ ধানের শীষ ও চা-গাছের পাতায় ঝিলমিল করছে। সেই শিশিরমাখা ঘাস উপেক্ষা করে চা-চাষিরা চা বাগানে কাজ করতে যাচ্ছেন।

গতকাল শনিবার ভোরে তেঁতুলিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় এমন দৃশ্য দেখা যায়। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদরা জানান, শরৎকালেও উত্তরের এই অঞ্চলে ভোরবেলা ঘন কুয়াশা, দিনে গরম আর রাতে শীতল পরিবেশ বিরাজ করছে।

স্থানীয়রা জানান, হিমালয়ের নিকটবর্তী হওয়ার কারণে এই অঞ্চলে শীত অন্যান্য জেলার তুলনায় আগে আসে। হিমালয়ের ঠান্ডা হাওয়া আর ঘন কুয়াশা শীতের আগমন ঘটায়।

আবহাওয়াবিদরা বলেন, আশ্বিন মাসে মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা কম থাকায় এবং উত্তরের হাওয়ার প্রভাবে শেষ রাতে ঠান্ডা অনুভূত হয়। মৌসুমি বায়ু যখন কম সক্রিয় হবে, তখন শীতের তীব্রতা বাড়বে।

সকালে স্থানীয় বাসিন্দা মনছুর আলী ও রবিউল ইসলাম জানান, ভোর থেকেই ঘন কুয়াশা দেখা যাচ্ছে, তবে শীত এখনো তেমন নেই। মনে হচ্ছে, শীত এ বছর তাড়াতাড়ি শুরু হবে এবং শীতের পরিমাণও বেশি হবে। দিনের বেলায় গরম থাকায় কাজ করতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।

পরিবেশকর্মী মাহমুদুল ইসলাম মামুন জানান, উত্তরে আশ্বিনেই পৌষের মতো কুয়াশা দেখা যাচ্ছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের এক বিপদসংকেত। তবুও পরিবেশ রক্ষায় তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। আমাদের পরিবেশ ও জলবায়ু সম্পর্কে আরও সচেতন হতে হবে, কারণ উত্তরাঞ্চল হিমালয়ের পাদদেশে হওয়ায় এখানে শীত আগে আসে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেল শাহ জানান, গত তিন দিন ধরে সকালে কুয়াশায় চারপাশ ঢাকা পড়ছে। আজ (শনিবার) সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ধীরে ধীরে কমছে।

  • usharbani
  • ঊষারবাণী
  • তেঁতুলিয়া
  •