বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন তাবিথ আউয়াল। এই বিষয়টি অনেক আগে থেকেই জানা ছিল, বিশেষ করে যখন কাজী সালাহউদ্দিন লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেননি। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাননি তিনি। তার মায়ের অসুস্থতার কারণে ব্যস্ত থাকায় বাফুফে নিয়ে তেমন মনোযোগী ছিলেন না।
আজ (সোমবার) সংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হয়ে তিনি তার নির্বাচনী পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করবেন। গতকাল রাতে তিনি নিশ্চিত করেছেন যে তিনি বাফুফে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তাবিথ একজন সাবেক ফুটবলার এবং বাফুফেতে সহ-সভাপতি হিসেবে কাজ করেছেন। তবে বর্তমানে তিনি কমিটিতে নেই। পূর্বে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন করে মহিউদ্দিন আহমেদ মহির সঙ্গে ভোট সমান হওয়ার কারণে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে তাবিথ পরাজিত হন।
তাবিথের পারিবারিক কারণে নির্বাচনে পরাজয়ের গুঞ্জন ছিল যে, সরকারি একটি সংস্থা তার বিরুদ্ধে কাজ করেছে। কারণ, জাতীয় দলের ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে থাকলেও তিনি ফুটবলের উন্নয়নে অনেক অর্থ ব্যয় করেছেন। কিন্তু কখনোই নিজের প্রচার করেননি।
এদিকে, তরফদার রুহুল আমিনও সভাপতি পদে নির্বাচনে অংশ নিতে চান। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তিনি তাবিথকে সভাপতি পদে এবং নিজেকে সিনিয়র সহসভাপতি পদে প্রার্থী করার কথা জানান, তবে তাবিথ তা গ্রহণ করেননি। কারণ, তখনো কাজী সালাহউদ্দিন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন।
সালাহউদ্দিন ১৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন না করার ঘোষণা দেওয়ার পর ৭ জানুয়ারি তরফদার রুহুল আমিন বাফুফে সভাপতি পদে নির্বাচনের ঘোষণা দেন। পাঁচ দিন পর বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়ালও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নেন। এই দুই প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিলে বাফুফের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে লড়াই হতে পারে।