ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, আফগানিস্তান এবং জাপান। এই দেশগুলো পৃথকভাবে ইসরাইলের হামলাকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছে।
মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইলি সরকারের হামলা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।” তারা অবিলম্বে শত্রুতা বন্ধ করার এবং সহিংসতার চক্রের অবসানের আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “দায়মুক্তির সাথে ইসরাইলের ক্রমাগত হামলা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যত স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে, যা এই অঞ্চলে বৃহত্তর সংঘাতের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে পারে।”
ইন্দোনেশিয়াও ইরানের ওপর ইসরাইলের সামরিক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এ ধরনের উত্তেজনা ও সংঘাতের বিস্তার আন্তর্জাতিক আইনকে উপেক্ষা করছে। জাকার্তার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সকল পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম ব্যবহার করতে হবে এবং উত্তেজনা বাড়াতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে হবে।” তারা আরও উল্লেখ করেছে, “ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের অবৈধ দখল মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের মূল কারণ।”
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পশ্চিম এশিয়ায় চলমান উত্তেজনা এবং এর প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা সংযম এবং সংলাপের আহ্বান জানিয়ে বলেছে, “চলমান শত্রুতা কারোই উপকারে আসে না।”
অন্যদিকে, আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী তালেবান সরকার ইসরাইলি হামলার তীব্র নিন্দা করেছে এবং এটিকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে।
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইওয়ায়া তাকেশি তার মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক হামলায় জাপান গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।” তবে এতে ইসরাইলের নাম উল্লেখ করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, “আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়ায় এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে টোকিও জড়িত সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযমের আহ্বান জানাচ্ছে।”
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার ভোররাতে ইরানে একাধিক সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ইসরাইল প্রতিশোধমূলক হামলা চালায়। ইরানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ হামলায় ৪ সেনা সদস্য নিহত হয়েছে।