প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প মন্ত্রিসভা এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এ নিয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা তুলে ধরা হয়েছে, যারা প্রতিরক্ষা, গোয়েন্দা, কূটনীতি, বাণিজ্য, অভিবাসন এবং অর্থনীতির নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
স্কট বেসেন্ট – সম্ভাব্য ট্রেজারি সেক্রেটারি
ট্রাম্পের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা এবং ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বেসেন্ট ট্রেজারি সেক্রেটারি পদে প্রার্থী হতে পারেন। তিনি রিপাবলিকানদের মধ্যে লেইস-ফেয়ার অর্থনৈতিক নীতির সমর্থক এবং শুল্ক ব্যবহারকে সমঝোতার হাতিয়ার হিসেবে দেখতে পছন্দ করেন।
জন পলসন – সম্ভাব্য ট্রেজারি সেক্রেটারি
বিলিয়নিয়ার হেজ ফান্ড ম্যানেজার ও ট্রাম্পের প্রধান দাতা পলসনও ট্রেজারি সেক্রেটারি পদে প্রতিদ্বন্দ্বী। তিনি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় এবং বাণিজ্য ক্ষেত্রে শুল্ক ব্যবহারের সমর্থক।
ল্যারি কুডলো – সম্ভাব্য ট্রেজারি সেক্রেটারি
ফক্স বিজনেসের কুডলো, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে অর্থনৈতিক কাউন্সিলের পরিচালক ছিলেন। তারও ট্রেজারি সেক্রেটারি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রবার্ট লাইটহাইজার – সম্ভাব্য ট্রেজারি সেক্রেটারি
ট্রাম্পের মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন লাইটহাইজার। তিনি বাণিজ্যে সংশয়বাদী এবং চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
রিচার্ড গ্রেনেল – সম্ভাব্য জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা
গ্রেনেল পররাষ্ট্রনীতিতে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ একজন। তিনি জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এবং জার্মানিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বিদেশি নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে।
রবার্ট ও’ব্রায়েন – সম্ভাব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ট্রাম্পের শেষ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও’ব্রায়েন বিদেশি নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রেখেছেন। তার মতামত ট্রাম্পের কিছু উপদেষ্টার চেয়ে বেশি কট্টর।
মার্কো রুবিও – সম্ভাব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ফ্লোরিডার সিনেটর রুবিও একজন শীর্ষ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদপ্রার্থী। তিনি ট্রাম্পের নীতির ঘনিষ্ঠ এবং বৈদেশিক নীতিতে দীর্ঘ সময় ধরে যুক্ত রয়েছেন।
মাইক ওয়াল্টজ – সম্ভাব্য প্রতিরক্ষামন্ত্রী
প্রাক্তন বিশেষ বাহিনীর সদস্য ওয়াল্টজ ফ্লোরিডা থেকে কংগ্রেসের সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। চীন বিষয়ে তার কট্টরপন্থী অবস্থান আছে।
টম হোমান – সম্ভাব্য হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে অভিবাসন এনফোর্সমেন্টের প্রধান ছিলেন হোমান। অভিবাসন ইস্যুতে তার কট্টর নীতির জন্য ট্রাম্পের সমর্থকদের কাছ থেকে প্রশংসিত হয়েছেন।
চ্যাড উলফ – সম্ভাব্য হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি
উলফ ট্রাম্পের কট্টর অভিবাসন নীতি বাস্তবায়ন করেছিলেন। তার নেতৃত্বে পোর্টল্যান্ড দাঙ্গায় বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা ছিল।
মার্ক গ্রিন – সম্ভাব্য হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি
সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা গ্রিন ট্রাম্পের একজন অনুগত এবং কট্টর অভিবাসন নীতির সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স