ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কাতার তাদের দোহা ছেড়ে চলে যাওয়ার অনুরোধ করেনি। শনিবার (৯ নভেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
হামাস এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কাতারের রাজধানী দোহায় তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং সেখানে বেশ কয়েকজন নেতাও অবস্থান করছেন।
একই দিনে সিএনএন জানায় যে, যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে কাতার হামাসকে দোহা থেকে তাদের অফিস গুটিয়ে নিতে বলেছে। তবে হামাসের এক সিনিয়র নেতা এ তথ্যকে নাকচ করে জানান, তাদের কাছে এমন কোনো অনুরোধ আসেনি।
তিনি বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘অজ্ঞাত কূটনৈতিক সূত্র থেকে আসা খবরে আমরা নিশ্চিত বা অস্বীকার করার মতো কিছু পাইনি। কাতার ছাড়ার বিষয়ে কোনো অনুরোধ পাইনি।’ তিনি আরও জানান, গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা থেকে কাতারের সরে দাঁড়ানোর খবর তিনি জানেন।
এনডিটিভির সূত্র অনুযায়ী, ইসরাইল ও হামাস উভয় পক্ষকে কাতার জানিয়েছে যে, তারা আন্তরিকভাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে আসার আগ পর্যন্ত দোহা এ বিষয়ে আর মধ্যস্থতা করবে না। এমন পরিস্থিতিতে দোহায় হামাসের কার্যালয় থাকার প্রয়োজন নেই।
গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং হামাসের হাতে বন্দি ব্যক্তিদের মুক্তির জন্য দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে আলোচনা চলছে। এতে কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিশর মধ্যস্থতা করছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সফলতা পাওয়া যায়নি। সূত্রের তথ্যমতে, কাতার যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে যে, যদি ইসরাইল ও হামাস আন্তরিকভাবে আলোচনার টেবিলে ফিরতে চায়, তাহলে তারা পুনরায় মধ্যস্থতায় ফিরতে প্রস্তুত।